অনলাইন ডেস্ক, ২৭ অক্টোবর।।করোনা সংক্রমণের আবহের মধ্যেই বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বিহারের নির্বাচন পর্ব। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তিন দফায় ভোট হওয়ার কথা বিহারে। মোট আসন ২৪৩টি। বুধবার প্রথম দফায় ৭১টি আসনে ভোট হওয়ার কথা বিহারে। ৩ নভেম্বর ভোট হবে ৯৪টি এবং ৭ নভেম্বর ৭৮টি আসনে। ভোটের ফল ঘোষণা হবে ১০ নভেম্বর।এবারের বিহারের নির্বাচনে মূল লড়াই বিজেপি-জেডিইউ এর এনডিএ জোট বনাম কংগ্রেস-আরজেডি’র মহাগঠবন্ধন। একদিনে ৭০ বছরের নীতীশ কুমার।
অন্যদিকে, বছর ৩১ এর লালু পুত্র তেজস্বী যাদব। একদিকে পক্ককেশ অন্যদিকে তরুণ রক্ত। বিহারের ভোটে লড়াই এবার নজরকাড়া।এবারের ভোটে এনডিএ জোটের মূল ইউএসপি অবশ্যই নীতীশ কুমার। পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী জেডিইউ সুপ্রিমো এবারও নির্বাচনে জিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে ধরেই নিয়েছে এনডিএ শিবির। সঙ্গে অবশ্যই রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজস্ব ইমেজ এবং ভোট প্রচার। অন্যদিকে, এবারের নির্বাচনে বিহারে বিরোধী মহাজোট মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেছে আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ পুত্র তেজস্বী যাদবকে।
২০১৫ সালে আরজেডি-জেডিইউ মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ পেয়েছিলেন তেজস্বী। তাঁর ক্ষুরধার বক্তৃতা ইতিমধ্যেই ঝড় তুলেছে বিহারের ভোট ময়দানে। ভোট প্রচারে এসে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও প্রশংসা করে গেছেন লালু পুত্রের। তবে এনডিএ’র দাবি, তেজস্বীর বাগ্মীতা ভোট ময়দানে ঝড় তুললেও তা ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হবে না। তবে এবারের নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে লোকজন শক্তি পার্টি। দলের প্রতিষ্ঠাতা রামবিলাস পাসওয়ান সদ্য প্রয়াত হয়েছেন। বাবার স্থানে দলের ব্যাটন এখন চিরাগ পাসওয়ানের হাতে।
সহানুভূতির হাওয়ায় এনডিএ শিবিরের বেশকিছু ভোট এলজেপি’র ঝুলিতে আসতে পারে।তথ্য বলছে, প্রথম দফার ভোটে বুধবার মোট ভোটার ২.১৪ কোটি। ভোটারদের একটা বড় অংশেরই বয়স ১৮-৪০ বছরের মধ্যে। ফলে কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন এবারের ভোটে বিহারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। তবে বিহারের ভোটে জাতপাতের অঙ্ক বরাবরই বড় ভূমিকা পালন করে। এখানে প্রায় ১৪ শতাংশ যাদব ভোট ও ১৭ শতাংশ মুসলিম ভোট। প্রায় ১১০টি আসনের ফলাফলে বড় ভূমিকা নিতে পারে এই দুই ভোট ব্যাঙ্ক। ২০১৫ এর নির্বাচনে যাদব ও মুসলিম ভোটের অধিকাংশই গিয়েছিল আরজেডি ও কংগ্রেসের দখলে। করোনা আবহে বিহারের ভোট গ্রহণও এবার অন্যরকম হতে চলেছে।
বুথ পিছু ভোটার সংখ্যা ১৬০০ থেকে কমিয়ে এক হাজার করেছে নির্বাচন কমিশন। বয়স্কদের জন্য থাকছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা। এছাড়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভোট গ্রহণকর্মী, নিরাপত্তা রক্ষী ও ভোটারদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। দূরত্ব বিধি মানতে হবে প্রত্যেককে। থার্মাল স্ক্যানিং ও হবে সকলের।