অনলাইন ডেস্ক, ২৭ অক্টোবর।। শেষ পর্যন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্স কি প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে? সোমবার শারজায় কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের (১৫০-২) কাছে আট উইকেটে হারের পরে কেকেআর(১৪৯-৯)-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সোজাসাপ্টা অঙ্ক হল, শেষ দুই ম্যাচে চেন্নাই এবং রাজস্থানকে বড় ব্যবধানে হারানোর পাশাপাশি রান রেটকেও উন্নত জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। তারই সঙ্গে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে হারতে হবে একটি ম্যাচে। এত যদি, কিন্তুর বাধা পেরিয়ে দীনেশ কার্তিকরা নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জোরগলায় দাবি করতে পারছেন না কলকাতার ভক্তরা। পুরনো দলের বিরুদ্ধে সোমবার ঝলসে উঠলেন দুই প্রাক্তন তারকা। বল হাতে মহম্মদ শামি তুলে নিলেন তিন উইকেট। ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন ক্রিস গেইল। তাঁর ২৯ বলে ৫১ রানই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিল। গেইলের ইনিংসে ছিল দুটি চার এবং পাঁচটি ছয়।
স্ট্রাইক রেট ১৭৫.৮৬। সদ্য পিতৃহারা মনদীপ সিংও দারুণ সহায়তা করলেন গেইলকে। মনদীপ ৫৬ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে যান। ১৮.৫ ওভারেই ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়ে যায়। ম্যাচের পরে হতাশ নাইট অধিনায়ক অইন মর্গ্যান জানিয়েছেন, শারজার মতো ছোট মাঠে প্রতিপক্ষকে যেভাবে আক্রমণ করা দরকার, সেটা তাঁর দল করে উঠতে পারেনি। তিনি বলেছেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবেই আমাদের কোনও বড় পার্টনারশিপ তৈরি হয়নি। শারজার মতো ছোট মাঠে প্রতিপক্ষকে পাল্টা আক্রমণ না করতে পারলে লড়াইয়ে জেতা যায় না। আমার মনে হয়েছিল, ১৮৫-১৯০ রান করতে পারলে ম্যাচটা জেতা যেতে পারে। কিন্তু কেউ কিছু করতে পারেনি। এত কম রান নিয়ে ম্যাচ জেতা অসম্ভব। এবার আমরা প্লে-অফে যেতে পারব কি না, তা নির্ভর করছে আমাদের পারফরম্যান্সের উপরেই। ভাল খেলতে পারলেই সেটা সম্ভব।” ম্যাচের সেরা গেইল বলেছেন, “ম্যাচ না খেললেও আমার অনুশীলন নিয়মিত জারি ছিল। আর দল যখন ভাল খেলতে থাকে, তখন মনমেজাজ এমনিতেই তরতাজা হয়ে যায়। আমি সেটাকেই কাজে লাগাতে চেয়েছি। মনদীপ দারুণ ব্যাটিং করেছে। উইকেটের অন্য প্রান্ত থেকে ওর খেলাটা দারুণ উপভোগ করেছি। নিজের প্রয়াত বাবাকে এর চেয়ে সেরা, সুন্দর উপহার আর কী হতে পারে। ওর মতো ক্রিকেটার থাকা আমাদের কাছে দারুণ প্রাপ্তি।”