অনলাইন ডেস্ক, ২৭ অক্টোবর।। ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার বিষয়ে সব সময়ই আমেরিকা তাদের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। মঙ্গলবার এই মন্তব্য করলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও। দুদিনের সফরে ভারতে এসেছেন পম্পেও। মঙ্গলবার তিনি দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এই বৈঠকে একাধিক কূটনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পম্পেও এই মন্তব্যের মাধ্যমে চিনকেই কড়া বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় ভারতের সঙ্গে চিনের বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা চলছে। এর মধ্যে আমেরিকা সরাসরি ভারতের পাশে দাঁড়ানোয় চিনের উপর চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। লাদাখে বারবার আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে চিন। সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করছে লাল ফৌজ। যদিও ভারতও চিনকে পাল্টা কড়া বার্তা দিয়েছে। এদিন জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকের পর পম্পেও বলেন, বিশ্বের যে কোনও দেশের কাছ থেকে ভারত কোনও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লে আমরা সব সময় নয়াদিল্লির পাশে থাকব। ভারত সীমান্তে কোনও আপোস করবে না বা বহিরাগত শক্তির কাছে মাথা নত করবে না বলেও পম্পেও আশা প্রকাশ করেন।ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও মজবুত করার কথা বলেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
সন্ত্রাস দমন, আর্থিক মন্দার মোকাবিলার মতো বিভিন্ন বিষয়ে ভারত-আমেরিকা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমনে ভারত সরকারকে প্রয়োজনে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করবে আমেরিকা। উল্লেখ্য চিন ও আমেরিকার মধ্যে বেশ কয়েক বছর ধরেই ঠান্ডা লড়াই চলছে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে চিনের সঙ্গে আমেরিকার দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চলছে। এরই মধ্যে যোগ হয়েছে করোনা মহামারী। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিষ্কার জানিয়েছেন, চিন গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। তাই এই মুহূর্তে চিনকে যে কোন বিষয়ে আমেরিকা চাপে রাখতে চাইছে। সে কারণেই ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যার প্রশ্নেও আমেরিকা নয়াদিল্লির পাশে থাকার আশ্বাস দিল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।