অনলাইন ডেস্ক, ২৭ অক্টোবর।। আর মাত্র এক সপ্তাহ, তারপরেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ঠিক এমন সময়ে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সে দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করল ভারত। হায়দরাবাদ হাউসে হল ভারত-আমেরিকার টু প্লাস টু বৈঠক। দুদেশের রণকৌশলগত বোঝাপড়া মজবুত করাই কার্যত এই বৈঠকের মূল টার্গেট ছিল। আর হল তাই। গুরুত্বপূর্ণ বেসিক এক্সচেঞ্জ ও কোয়াপরেশন এগ্রিমেন্টে সাক্ষর করল ভারত ও আমেরিকা। এর ফলে গুপ্ত স্যাটেলাইট ও সেন্সর ডেটা ভারতের সঙ্গে শেয়ার করবে আমেরিকা। সোমবারই নয়াদিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো ও প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এস্পার। ‘টু প্লাস টু’ কাঠামোয় তাদের সঙ্গে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের এই বৈঠক। ইতিমধ্যেই ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে পম্পেয়োর।
এদিন বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বেসিক এক্সচেঞ্জ ও কোয়াপরেশন এগ্রিমেন্টে সাক্ষর করল ভারত ও আমেরিকা। এর ফলে গুপ্ত স্যাটেলাইট ও সেন্সর ডেটা ভারতের সঙ্গে শেয়ার করবে আমেরিকা। যা ব্যবহার করে নিজেদের মিসাইল ও ফৌজ মোতায়েনের ক্ষেত্রটি আরও নিঁখুত করতে পারবে ভারত। এতেই চাপে পড়বে বেজিং। এমনটাই ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। চুক্তি সাক্ষরের পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বেসিক এক্সচেঞ্জ ও কোয়াপরেশন এগ্রিমেন্টে সাক্ষর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভারত-মার্কিন সেনা সহযোগিতার আগ্রগতি খুব ভাল। প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষেত্রে দু’তরফেই বেশ কিছু পরিকল্পনা চিহ্নিত করা হয়েছে। আমরা ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও সুরক্ষার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেছি।’মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এসপার ও বিদেশ সচিব পম্পেও চিনা আগ্রাসন-গালওয়ানের কথা তুলে ধরে বলেন যে দুই দেশ এখনকার পরিস্থিতির যে চ্যালেঞ্জ, সেটাকে মোকাবিলা করছে। পম্পেওর কথায়, ‘এ দেশের সার্বভৌমত্ব-স্বাধীনতাকে হুমকি দেওয়া হলে আমেরিকা সবসময় ভারতের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত। শুধু চিনা কমিউনিস্ট পার্টি নয়, সাইবার ইস্যু থেকে শুরু করে সব ধরণের বিপদ থেকে বাঁচতে ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার অগ্রগতি হবে।’