স্টাফ রিপোর্টার, বিলোনিয়া, ২৭ অক্টোবর।। গর্ভধারিনী মায়ের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনা বিলোনিয়ার মাইছড়া ঘাঁটি পাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে বিলোনিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতা মায়ের সাথে কথা বলে । বয়ান অনুসারে ছেলের বিরুদ্ধে মামলা হাতে নেয় । নিজের সেবা যত্ন না করে , দুবেলা দুমুঠো না খেয়ে আদরের সত্মানকে লালন পালন করে বড় করে তুললো – সেই মা আজ অবহেলিত নিজের আদরের সত্মানের কাছে । শুধু তাই নয় প্রতিদিনই এই মায়ের আদরের কুলাঙ্গার সন্তান রাখাল দাস শারীরিক , মানসিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ তুলেছে নিজের গর্ভধারিনী মা অঞ্জলী দাস।
বৃদ্ধা বয়সে যে মাকে সেবা যত্ম দিয়ে লালন পালন করার কথা সেই মায়ের প্রতি অমানবিক আচরনের ঘটনায় শুধু বিলোনিয়ার মাইছড়া ঘাঁটি পাড়া এলাকা নয়, বিলোনিয়া মহকুমা জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠছে । ভাত, কাপড় দূরের কথা । বড় ছেলে রাখাল দাস দীর্ঘ অনেকদিন ধরে প্রতিদিন মদমত্ত অবস্থায় নিজের গর্ভধারিনী মা অঞ্জলি দাসকে মারধর করে । শুধু তাই নয় নিজের গর্ভধারিনী মায়ের পাশাপাশি নিজের স্ত্রীকে মারধর করে কুলাঙ্গার রাখাল দাস । স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ছেলেকে রেখে স্ত্রী বাপের বাড়িতে চলে যায় । মঙ্গলবার দুপুরে কাজ সেরে বাড়িতে আসার পর ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে নিজের ছেলেকে বেদম প্রহার করে পিতা। অঞ্জলী দাস নাতিকে মারতে দেখে সহ্য করতে না পেরে ডাক দিতে যাওয়ার পর কুলাঙ্গার সন্তান রাখাল নিজের গর্ভধারিনী মাকে কিল ঘুসি সহ লাঠি দিয়ে আঘাত করে ।
মা অঞ্জলি দাস এর অভিযোগ ছেলের এই ধরনের কাণ্ড নিয়ে এলাকায় অনেকবার সালিশি সভাও হয়েছিল। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। কিছুদিন পরপর বাড়ির সদস্যদের ওপর নির্যাতন শুরু করে অভিযুক্ত রাখাল দাস। রাখাল দাস পেশায় একজন দিনমজুর । গর্ভধারিনী মায়ের উপর নির্যাতনের ঘটনায় খবর দেওয়া হয় বিলোনিয়া থানায়। বিলোনিয়া থানার পুলিশ মাইছড়া ঘাটি পাড়া এলাকায় রাখাল দাসের বাড়িতে ছুটে আসে। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই রাখাল দাস গা ঢাকা দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে। মা অঞ্জলি দাসের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা নেয় ছেলের বিরুদ্ধে।