অনলাইন ডেস্ক, ২৫ অক্টোবর।। গোয়ায় তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। প্রাক্তন লিভারপুল তারকা এবং এসসি ইস্টবেঙ্গল দলের নতুন কোচ রবি ফাউলার জানিয়ে দিলেন, আসন্ন আইএসএলে তাঁর দল খেলবে নজরকাড়া পাসিং ফুটবল।
ছোট ছোট পাসের সঙ্গে বলকে নিজেদের দখলে বেশি সময়ে রাখার মধ্যে দিয়ে তিনি ইস্টবেঙ্গলের খেলার ধরনে নিয়ে আসতে চান আমূল পরিবর্তন। শনিবার ইনস্টাগ্রাম লাইভ চ্যাটে ফাউলার বলেছেন, “ভাল ফুটবলের প্রধান লক্ষণ নিজেদের পায়ে বলকে বেশি সময় ধরে রাখা। তারই সঙ্গে ছোট, ছোট নিখুঁত পাস খেলে প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করে তুলতে হবে।
তারই সঙ্গে নিজেদের খেলার উন্নতি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হলে পাসিং ফুটবলে অভ্যস্থ হয়ে ওঠাই সেরা রাস্তা।”বরং একধাপ এগিয়ে ফাউলার মনে করেন, লম্বা পাসে ফুটবল খেলার বিষয়টা এখন অনেক পুরনো এবং পরিচিত হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, “লম্বা পাসিংয়ের পরিবর্তে নিজেদের পায়ে বেশি সময় বল রাখতে হবে। আমাদের লক্ষ্যই হবে প্রতিপক্ষের অর্ধে ঢুকে তাকে চাপের মধ্যে রেখে দেওয়া। এবং সেটা করতে গেলে নিজেদের দখলে বলকে বেশি সময় রাখতে হবে।
পাসিংয়ে জোর দিতে হবে। এই মুহূর্তে ইউরোপীয় ফুটবল সেই পন্থা মেনেই এগোচ্ছে।” এবার আইএসএল হবে ফাঁকা স্টেডিয়ামে। তা নিয়ে ফাউলার খুব একটা চিন্তা করছেন না। তিনি বলেছেন, “করোনা অতিমারির সঙ্গে লড়াই করতে হলে এই ব্যাপারগুলো মেনে চলতেই হবে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দর্শকদেরও পাশে পাব।
ওটা নিয়ে এখন ভেবে লাভ নেই। সত্যি বলতে, আমি কলকাতায় যাওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আগামী বছর সমর্থকদের একটা সেরা দল উপহার দিতে চাই। তবে তার আগে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিজেদের তৈরি করে ফেলতে হবে।”
এবারের আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলই সবচেয়ে কম সময় পাচ্ছে অনুশীলনের। তা মাথায় রেখেই ফাউলার বলেছেন, “নিঃসন্দেহে এটা সকলের কাছে খুব বড় একটা চ্যালেঞ্জ।
আমাদের হাতে যেটুকু সময় রয়েছে, তার মধ্যেই এমন ভাবে তৈরি হতে হবে যাতে মাঠে নেমে ইস্টবেঙ্গল যে কোনও দলের সামনে বাধা হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি, বাকি দলগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করার জন্য এই দলকে খুব বেশি সময় নষ্ট করতে হবে না। বিশেষ করে, যে ছয়জন বিদেশি আমাদের দলে রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই কিন্তু ব্যতিক্রমী। এদের খেলার বৈচিত্র দলকে নতুন একটা মাত্রা দেবে বলে আমি মনে করি।
বিশেষ করে নেভিল এবং ফক্সের খেসলার ধরন আমার জানা। ম্যাট স্টেইনম্যান অস্ট্রেলিয়া লিগে দুর্দান্ত খেলেছিল। ও মাঠে অনেকটা জায়গা নিয়ে খেলে এবং খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তা ছাড়া ভবিষ্যতে আরও কিছু বিদেশি ফুটবলারকে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে এবারের দল যে খুব দুর্বল হয়েছে, তা আদৌ মনে করি না।”