স্টাফ রিপোর্টার, কদমতলা, ২০ অক্টোবর।।বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে পালাবদলের পর ত্রিস্তরীয় নির্বাচনে বিজেপি দল ব্যাপক হারে পঞ্চায়েত দখল করে। তেমনি উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকাধীন কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করে বিজেপি দল। বিজেপি দলের ৮ জন পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যা এবং সিপিআইএমের ৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য সদস্যা নিয়ে কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতটি পরিচালিত। কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল।
কিন্তু গ্রামের বাসিন্দারা হয়ত এটা ভাবেননি যে একবছরেই পঞ্চায়েত ভেঙে যাবে বা ভেঙে যাবার উপক্রম হবে।কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের দুর্নীতি প্রকাশ্যে এলেও দল কোন বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যদের। কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুব্রত শব্দ কর ও উপ প্রধান আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন বাকি পঞ্চায়েত সদস্যরা। অভিযোগকারী পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যারা হলেন রিয়াজ আলি, নাজমা বেগম, হৃদয় দেব, ফরখানা খানম, আমিনা বেগম।এই ৫ জন বিজেপি দলের পঞ্চায়েত নির্বাচিত সদস্য সদস্যা প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন,আর তাতেই পঞ্চায়েত বর্তমান অবস্থায় ঝুলন্ত। এই ৫ জন দলীয় হুইপ অমান্য করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিহিত ব্যবস্থা নেবে দল এটা বিষয় নয়। বিষয় হলো কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতকি বিজেপির দখলে থাকবে? দুর্নীতিবাজ প্রধান, উপ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রামে ক্ষোভ প্রচন্ড।পুনর ভোট হলে শাসকদল সিপিএমের কাছে নাকানি চুবানি খাবে বিজেপি দল।
ঘোলা জলে মাছ শিকার করে নিয়েছেন বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন। কেননা ৫৪ কুর্তি কদমতলা বিধানসভা কেন্দ্রের কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্দিনের ঘর।আজ অনাস্থা ভোটের সময়ে পঞ্চায়েতের সামনে গ্রামের মানুষের ভিড় ছিলো লক্ষণীয়। কদমতলা ব্লকের পঞ্চায়েত অফিসার হীরা-মানিক ত্রিপুরা ও দীপঙ্কর চক্রবর্তীর নিকট কূর্তী গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আজ বেলা ১২ টা নাগাদ বিজেপি দলের বাকি পাঁচ জন পঞ্চায়েত সদস্য ও সদস্যা পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান ও এক পঞ্চায়েত সদস্যার উপর অনাস্থা আনেন। প্রশাসনিক আধিকারিক ও পঞ্চায়েত অফিসাররা বেরিয়ে আসতেই চিত্র পরিস্কার হয়ে যায়। উপ প্রধান আলতাফ হোসেন বড় গলায় গ্রামের মানুষের সামনে বললেন,এরা আমাদের উপর অনাস্থা এনে বিজেপিকে হারিয়েছে।এরা সিপিএমের ইন্ধনে কাজ করছে।
এরা যে বিজেপি নয় আজ তা প্রমাণ হলো।অপরদিকে অনাস্থা আনা বাকি পঞ্চায়েত সদস্যরা জানান, উনার বিজেপিতে আছেন ও থাকবেন, তবে দুর্নীতিবাজদের তারা প্রশয় দেবেননা।তাদের অভিযোগ, মসজিদের রাস্তার টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে এক বছরে প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার দুনীতি হয়েছে কূর্তী গ্রাম পঞ্চায়েতে।বার বার দলীয় নেতৃত্বদের কাছে অভিযোগ করেও লাভ হয় নি,তাই তারা অনাস্থায় যেতে বাধ্য হয়েছেন।তবে প্রধান ও উপপ্রধানকে এরা কোন ভাবেই মেনে নেবেনা।কাজেই বলা চলে পঞ্চায়েত হারাচ্ছে বিজেপি।কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের জল এখন কোন দিকে গড়ায় এটাই এখন দেখার বিষয়।