অনলাইন ডেস্ক, ১৮ অক্টোবর।। মাত্র মাস দুই আগে দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। পরপর দুই মেয়ে হওয়ায় অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। সেই হতাশা থেকেই বড় মেয়ে দর্পণকে খুন করলেন প্রিয়াঙ্কা। ঘটনার জেরে পুলিশ প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের লুধিয়ানার নভনীত নগরের সালেম তাবরি এলাকায়। যদিও প্রিয়াঙ্কা নামের ওই মহিলা আদতে বিহারের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম টিঙ্কু। টিঙ্কু লুধিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করেন। লুধিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কার বড় মেয়ের বয়স মাত্র চার বছর। দ্বিতীয়বারও মেয়ে হওয়ায় প্রিয়াঙ্কা তা মেনে নিতে পারেনি। সে হতাশ হয়ে পড়ে।
শনিবার প্রিয়াঙ্কা তার বড় মেয়েকে বাথরুমে স্নান করাতে নিয়ে গিয়ে বারবার আছাড় মারতে শুরু করে। এমনকি, দেওয়ালে একাধিকবার মাথা ঠুকে দেয়। একরাত্রি শিশু মায়ের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যেতে পারেনি। বারবার আছাড় মারায় ঘটনাস্থলেই দর্পণের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বারবার আছাড় মারায় ওই একরত্তি শিশুর মাথা ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছিল।
মা হয়ে কিভাবে নিজের মেয়েকে এমন নৃশংসভাবে প্রিয়াঙ্কা খুন করতে পারে তা ভেবে চমকে উঠেছে পুলিশও। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুত্র সন্তানের জন্ম দিতে না পারায় শ্বশুরবাড়িতে প্রিয়াঙ্কার উপর কোনও চাপ ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।