অনলাইন ডেস্ক, ১৬ অক্টোবর।। বিশ্বের ত্রাস করোনার গ্রাসে একের পর এক দেশ। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সত্ত্বেও কোভিড১৯-কে নিয়ন্ত্রণ করার কার্যত কোনও উপায় এপর্যন্ত অধরা। তারমধ্যেই নতুন আশঙ্কার কথা শোনালো বিজ্ঞানীরা। তাঁদের গবেষণা বলছে, যারা এ গ্রুপের রক্ত বহন করছেন, তাঁদের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার যারা ও গ্রুপের রক্ত বহন করছেন তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম রয়েছে।
জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দাবি করেছেন, যাঁদের ব্লাড গ্রুপ এ, তাঁদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন বয়সের ষোলশোর বেশি করোনা আক্রান্ত এবং একই সঙ্গে করোনা হয়নি এমন ২,২০৫ জনের ডিএনএ-র গঠন ও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তাঁরা।জার্মান গবেষকদের দাবি, এই সমীক্ষায় তাঁরা দেখেছেন, যে সব ব্যক্তির ব্লাড গ্রুপ এ, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন এই করোনা ভাইরাসে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন আগামী দিনেও এই গ্রুপের রক্ত যাঁদের শরীরে আছে তাঁদেরই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগেরই ব্লাড গ্রুপ এ। জার্মান গবেষকদের আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে ব্লাড গ্রুপের একটা যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করেন একদল চিনা বিজ্ঞানীও। করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে উহানে করোনা আক্রান্ত ৩৮% রোগীর শরীরেই ‘এ’ গ্রুপের রক্ত। সেখানে ২৬.৪% রোগীর ‘বি’ গ্রুপের রক্ত এবং ২৫.৮% রোগীর শরীরে ‘ও’ গ্রুপের রক্ত। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কম ১০% রোগীর শরীরে ‘এবি’ গ্রুপের রক্ত বহন করছেন। তথ্য অনুসারে করোনা সংক্রমণ বেশি হয়েছে ‘এ’গ্রুপের রক্ত বহনকারীদের। তুলনায় ‘ও’এবং এই গ্রুপের রক্ত তাদের দেওয়া যায় সেই গ্রুপের রক্ত বহনকারীদের সংখ্যা কম।
এই তথ্যপ্রমাণ সত্যতা যাচাই করতে উহান ও শেনজেন শহরের ৩৮৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর রক্ত নিয়ে নতুন করে গবেষণা শুরু করেন গবেষকেরা। এরপরেই তাঁরা এবিষয়ে নিশ্চিত হন যে করোনা আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি রোগীরা ‘এ’ গ্রুপের রক্ত বহনকারী এবং ‘ও’গ্রুপের রক্ত তুলনামূলক কম। সেক্ষেত্রে এই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই তাঁরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছন যে তাদের রক্তের গ্রুপ ‘এ’ তাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। গত বছরের শেষের দিকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে চিনের উহানে।