স্টাফ রিপোর্টার, উদয়পুর, ১২ অক্টোবর।। মুখ্যমন্ত্রীর চাইতে একাকীত্বের জীবন কোন ব্যক্তির নেই। গোমতী জেলায় উদয়পুর মহকুমায় জামজুরি-তে গিয়ে শৈশবের কথা মনে করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব-র গলায় এভাবেই আবেগের সুর ভেসে উঠল। তিনি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয় বলেন, বাড়ি-গাড়ি, নিরাপত্তা রক্ষী সব রয়েছে আমার। তবুও, আমার থেকে একা এই ত্রিপুরায় কেউ নন। আজ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী জামজুরি-তে আদর্শ গ্রাম অভিযান প্রকল্পের সূচনা করেন।
ওই সময় তিনি জামজুরি স্কুল পরিদর্শন করেন। ওই স্কুলেই তিনি ছাত্রজীবন কাটিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই ওই স্কুলের সাথে তাঁর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। শৈশবের স্মৃতিই আজ তাঁকে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ করে তুলেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।আদর্শ গ্রাম অভিযান প্রকল্পের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আজ অনেকদিন বাদে আপনাদের দেখার সৌভাগ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, এই মাঠেই দূর্গা পূজা ৰুড্ঢিট হতো। আমরা সেই পূজায় অংশ নিতাম। এখানে অনেকে আছেন যাঁরা আমার সাথে নেচেছেন, বসেছেন, আড্ডা দিয়েছেন। আমি এখনো কিছুই ভুলেনি। তবে, আপনাদের দেওয়া কঠিন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মনে হতেই পারে মুখ্যমন্ত্রী ভীষণ সুখে রয়েছেন। কিন্তু, আমাকে একা থাকতে হয়, আক্ষেপ করে বলেন তিনি।তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর চাইতে একা কেউ নন। তাঁর চাইতে একাকীত্বের জীবন এই ত্রিপুরায় কোন ব্যক্তির নেই। কারণ, আমি আড্ডা দিতে পারিনা।
যখনই কোন কথা বলি, মুখ থেকে কিছু বেরিয়ে গেলেই তা সরকারি ঘোষণা হয়ে যায়, আবারো তাঁর গলায় আক্ষেপের সুর। তিনি কৌতুক করে বলেন, এমনিতে মনে হয় আমাদের ছেলে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেছে, অনেক আরামে রয়েছে। তখনই তাঁর গলায় আবেগের সুর ভেসে উঠে। আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি বলেন, বাড়ি-গাড়ি, নিরাপত্তা রক্ষী সবই রয়েছে আমার। কিন্তু, আমার থেকে একা এই ত্রিপুরায় কেউ নন। তবুও রাতে ঘুম আসে।
যখন মানুষের আশীর্বাদ ও ভালবাসা পাই।মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন, মানুষের সমর্থন স্বপ্নের মধ্যে আসে। তাতে, আরও কাজ করার শক্তি পাই। তাই, যে দায়িত্ব কাঁধে তুলে দিয়েছেন, সারা জীবন পালন করব। সকলের জন্য কাজ করে যাব।