স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১২ অক্টোবর।। ২০২০ সালের ৭ মার্চ আইনজীবী ভাস্কর দেব রায় জিবি হাসপাতালে ট্রমা সেন্টারে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। এই নিয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আইনজীবী পুলক সাহা এই মামলাটি করেন। এমনকি এই ঘটনায় আইনজীবীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় তার মৃত্যুর জন্য জিবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায়ী। পুলিশ ও দমকল কর্মীরা তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়নি। এর জন্য ক্ষতিপূরণ যাতে দেওয়া হয় তাঁর জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়। এই মামলায় সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই হলফনামার মাধ্যমে সেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে উচ্চ আদালতে। আদালতে রিট মামলায় যে দাবি করা হয়েছিল এটাই সরকারের হলফনামায় উঠে এসেছে। সরকারিভাবে দাখিল হওয়া ডেথ অডিট রিপোর্টে এবিষয়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। এখন প্রশ্ন রয়েছে ভাস্করের মাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। একই সঙ্গে এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে এবং আগরতলার জিবি ট্রমা সেন্টারের পরিকাঠামো উন্নতির জন্য উচ্চ আদালতের কাছে গাইডলাইন দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হবে। মা তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলেকে হারিয়েছে সরকারি গাফিলতির কারণে। সোমবার এই মামলাটি উচ্চ আদালতে উঠলে ফের একবার ক্ষতিপূরণের বিষয় উত্থাপন করা হয়।
এবিষয়ে জানান আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন। এডভোকেট জেনারেল উচ্চ আদালতে সরকারি গাফিলতির বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি আরও দুটি বিষয় এক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন। জেলাশাসক একটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত নির্দেশ দেয়। সেই তদন্ত শেষ হয়েছে এবং সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছে। সরকারি আইনজীবী দেবালয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন এই ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফৌজদারি মামলা নেয় । ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের রিট মামলার উচ্চ আদালতের ক্ষমতা রয়েছে অন্তর্বর্তী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। এবিষয়টি উচ্চ আদালতের কাছে রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকারি আইনজীবী যে দুটি বিষয় উত্থাপন করেছেন তার কাগজপত্র দেখবে উচ্চ আদালত। আগামী ১৭ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
সেই দিন ফের একবার ভাস্করের মায়ের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলে জানান আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মন।