অনলাইন ডেস্ক, ১১ অক্টোবর।। ক্রিকেট জীবনে পরিণত হওয়ার পথে তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনির অনেক সাহায্য পেয়েছেন। বহুবার প্রকাশ্যে সেই কথা বলতে গিয়ে দ্বিধাবোধ করেননি বিরাট কোহলি। চোদ্দো মাস পরে আবার যখন দুজনের দেখা হল, তখন পরিবেশ অনেক পাল্টে গিয়েছে। এবং শনিবার বাইশ গজের লড়াইয়ে উত্তরসূরির রাজকীয় মেজাজের কাছে হার মানতে হল তাঁর পূর্বসুরিকে।
শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (১৬৯-৪) ৩৭ রানে হারাল চেন্নাই সুপার কিংসকে (১৩২-৮)। কোহলি উপহার দিলেন ৫২ বলে ৯০ রানের অপরাজিত ঝলমলে ইনিংস। মারলেন চারটি চার এবং চারটি ছয়। স্ট্রাইক রেট ১৭৩.০৭। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ৩৯ বছরের ধোনি কার্যত লড়াই করলেন তাঁর বিগত ছায়ার সঙ্গে। ৬ বলে ১০ রান করে ফিরলেন হতাশ হয়ে। যদিও তার আগেই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। এবারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামা ক্রিস মরিস ১৯ রানে তুলে নিলেন ৩ উইকেট। অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর নিলেন ২ উইকেট। ‘ড্যাডিজ আর্মি’ নামে পরিচিত চেন্নাই সুপার কিংস সেই জোড়া ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি।
ম্যাচের পরে কোহলি বলে গেলেন, নিঃসন্দেহে আমরা আজ দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছি। এই উইকেট দেখে মনে হয়েছিল, রানটা ১৫০-এর উপরে উঠে গেলে প্রতিপক্ষ চাপে পড়ে যাবে। দরকার ছিল তার জন্য দারুণ একটা শুরুর। আমি সেই ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করেছি। প্রথম দিকের ম্যাচে আমি নিজের উপরে বেশি চাপ তৈরি করে ফেলেছিলাম। পরে সেই চাপটা কাটিয়ে উঠতেই ব্যাটে আবার রান আসতে শুরু করেছে। অধিনায়ক হিসেবে এই দায়িত্ব আমাকে পালন করতেই হবে।
পাশাপাশি আমাদের বোলিংটাও দারুণ হয়েছে। মরিসের মতো অভিজ্ঞ বোলারের থেকে আমরা এমন পারফরম্যান্সই আশা করে থাকি। আশা করি, কেকেআর ম্যাচেও আমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। ধোনি বলে গেলেন, বোলিংয়ের সময় শেষ চার ওভার আমরা দারুণভাবে রুখে দিয়েছিলাম আরসিবিকে। কিন্তু ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা রয়েই গিয়েছে।
সেটা আজ আরও প্রকট হয়ে গেল। যখনই বড় শট নেওয়ার প্রয়োজন ছিল, তখনই আমাদের উইকেট পড়ে গিয়েছে। জানি না, পরের ম্যাচগুলোতে এই সমস্যা কতটা কাটিয়ে ওঠা যাবে। বোলিং নিয়ে এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে ব্যাটিং মজবুত না হলে কোনও ম্যাচেই জয় পাওয়া সম্ভব নয়।