স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৮ অক্টোবর।। রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিশেষ করে সিপিএম লাগাতর আন্দোলন জারি রেখেছে। আজ আগরতলা শহরে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নের মিছিল-কে ঘিরে পুলিশ প্রশাসন-কে হিমশিম খেতে হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। সিপিআইএম সমর্থিত সেন্টার অফ ইন্ডিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন তথা সিআইটিইউ আজ ১১ দফা দাবি আদায়ের ওই বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করেছে।সকাল ১১ টার দিকে আগরতলা সিটি সেন্টারের সামনে মিছিলটি জড়ো হয়েছিল। ওই মিছিল শ্রম কমিশনের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করার পর প্রথমে প্যারাডাইস চৌমুহনী-তে এবং পরে পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে মোতায়েন করা নিরাপত্তা বাহিনী তাদের চলাচলে বাধা দেন এবং জনতা-কে ছত্রভঙ্গ করার জন্য সেখানে জল কামান ব্যবহার করেন।
এ-বিষয়ে সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী মানিক দে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার বিরোধী দলের আন্দোলন এবং রাজ্য জুড়ে সমাবেশ ও তৎপরতা চালানো থেকে বিরত রাখতে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করেছিল।কিন্তু, এমনটা অব্যাহত থাকতে পারে না এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার গৃহীত নীতিমালার বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থান হবেই। তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, কৃষক ও শ্রমিকরা সারাদেশে একত্রিত হয়ে একটি বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে যা এনডিএ সরকারের পতন নিশ্চিত করবে। সাথে তিনি যোগ করেন, ১১ দফা দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে। চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রাক্তন সাংসদ ও প্রবীণ সিপিআইএম নেতা শঙ্কর প্রসাদ দত্ত বলেন, ছয় মাসের জন্য মাসে ৭৫০০ টাকা এবং দরিদ্র পরিবারগুলিতে মাথাপিছু ১০ কেজি রেশন সরবরাহে-র দাবি জানিয়েছি।
তিনি তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ত্রিপুরা সরকার বিধানসভায় কোনও আলোচনা না করেই একদিনেই দশটি বিল পাস করেছে এবং তাতে বিরোধীদের কণ্ঠকে দমন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অভাবগ্রস্থদের দেওয়া মনরেগা ও টিইউইপি কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন তিনি কেন্দ্র ও রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ২৬ নভেম্বর দেশব্যাপী ধর্মঘটের সামিল হতে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সমর্থকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।