স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৭ অক্টোবর।। রিভিশন অফ এনলিস্টমেন্ট রুল অফ কনট্রাকটার্স অফ পিডব্লিওডি- সর্বশেষ সংশোধিত হয়েছিল ২০১৭ সালে। রাজ্য সরকারের পূর্ত দপ্তরের অধীন তালিকা ভুক্ত মোট ঠিকেদার রয়েছে ৪৯০৬ জন। রাজ্য সরকারের দৃষ্টিতে এসেছে কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে কাজ শেষ হওয়ার পর আবার টেন্ডার করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে লিফট , বাতানুকূল যন্ত্র , ওয়েরিং , এপ্রোচ রোডের ও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা। কাজ শেষ করার পর আবার টেন্ডার ডেকে নতুন ভবনে শুরু হয়ে যায় খোড়া খুঁড়ি। এই সব নিজিস রাজ্য সরকারের দৃষ্টিতে আসার পরে যাতে কাজ দ্রুত সম্পন্ন হতে পারে , একটা টেন্ডারের মাধ্যমে সব কাজ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি প্রকৌশলীদের সুবিধা – অসুবিধার কথা চিন্তা করে ডিগ্রি হোল্ডার এবং ডিপ্লোমা হোল্ডারদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে ও কোন ঠিকেদারের মৃত্যু হলে সব দিক বিবেচনা করে রাজ্য সরকার সংশোধনী এসেছে।
বুধবার রাজ্য মন্ত্রী সভার এই সিদ্ধান্তের কথা মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান আইন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। বর্তমানে ৬ ধরনের স্ল্যাব রয়েছে। এতে করে নতুন করে ধোকানো হয়েছে ক্লাশ ওয়ান কম্পোজীট ও ক্লাশ টু- কম্পোজিট। ফলে এখন ৮ টা স্ল্যাব হয়েছে। বড় নির্মাণের ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাবে। একটি টেন্ডারের মাধ্যমে সবটা কাজ হবে। গুনগত মান থাকলে তার পদোন্নতি ঘটবে। দুজন ঠিকেদার থাকলে তারা পার্টনার হতে পারে। সরাসরি নিচু তলার ঠিকেদার উপরে উঠে আসতে পারে। এখন থেকে নিচুতলার জন প্রতিনিধিরা ঠিকেদারি কাজ করতে পারবে না। এই রুলের পরিবর্তন গুলি সম্পর্কে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। বেকারদের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। ঠিকেদারি লাইসেন্স পাঁচ বছর হয়। তার পর আবার রিনিউ করা যাবে। দীর্ঘ দিন যাবৎ এই ছিল। তাই এটা করা হয়েছে। উন্নয়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রী সভা। পূর্বতন সরকারের আমলে ঠিকেদারেরা পেত ৪৭২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা।
বর্তমান সরকার তা ধীরে ধীরে কমিয়ে এনে করেছে ১৫৫ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা।রাজ্যে মাইক্রো ইণ্ড্রাস্ট্রী রয়েছে ৮০২৬ , স্মল ইণ্ড্রাস্ট্রী রয়েছে ১১০৫ টি, মিডিয়াম ইণ্ড্রাস্ট্রী রয়েছে ৪৩ টা, বড় ইণ্ড্রাস্ট্রী রয়েছে ৪ টা । মোট শিল্প সংস্থা রয়েছে ৯১৭৮ টি রাজ্যে। প্রথম পাঁচ বছরে জন্য নতুন শিল্প স্থাপন করলে তাতে ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার। কোভীডের কারনে অনেকেই সাব সিডি ক্ল্যাম করতে পারেনি। ৩১ মার্চের মধ্যে এই সাব সিডি ক্ল্যাম করতে হবে। কিন্তু অনেকেই তা করতে পারেনি। তার জন্য এক কালিন ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। মার্চের পরিবর্তে তা বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে। মন্ত্রী সভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই শিল্প কারখানায় মোট শ্রমিক রয়েছে ৮৭ হাজার ১৮১ জন। কোভিডের সংক্রমণ রাজ্যে কিছুটা কমে আসছে। এই ক্ষেত্রে নতুন পরীক্ষা শুরু করা হবে। রক্ত নেওয়া হবে। জানা যাবে তার কোভীড হয়েছে কিনা এবং তার মধ্যে এন্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা। প্রথমে স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকদের দিয়ে এই পরীক্ষা শুরু হবে। অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে এই পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রী সভা বলে জানান মন্ত্রী রতন লাল নাথ। কোভীড সংক্রান্ত হার তুলে ধরেন তিনি। ১২ টি রাজ্য থেকে ভাল জায়গায় রয়েছে ত্রিপুরা। মৃতুর হারে ২০ টি রাজ্য থেকে ভাল স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা। পজেটিভিটি রেইটে ত্রিপুরার থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে ১৪ টি রাজ্য বলে জানান তিনি।