স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৬ অক্টোবর।। ফ্যাসি গত ২৫ সেপ্টেম্বর একটি নির্দেশ জারি করেছে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে দুগ্ধ জাতীয় খাদ্য সামগ্রী মিষ্টির ট্রেতে প্রস্তুতির দিনক্ষণ, তার মেয়াদ কত সময় তা ক্রেতাদের দেখার ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত মিষ্টির দোকান গুলিতে সাজিয়ে রাখা মিষ্টির ট্রেতে এই ব্যবস্থা রাখতে হবে। এই নির্দেশিকা জারির পর মঙ্গলবার তা যথাযথ ভাবে কার্যকর হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অভিযান চালায় সদর মহকুমা প্রশাসন। এদিন সদরের অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাসের নেতৃত্বে খাদ্য দপ্তরের কর্মীরা এই অভিযান চালায়। শহরের বেশ কয়েকটি মিষ্টির দোকানে এই নির্দেশ পালন করে মিষ্টির ট্রেতে প্রয়োজনীয় তথ্য লাগানো রয়েছে কিনা তা দেখেন।
মূলত ক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। তারই অঙ্গ হিসাবে এই উদ্যোগ গ্রহণ বলে জানান সদরের অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস। রাজধানীর গোপাল মিষ্টির দোকানে এই নির্দেশ মানা হয়নি বলে জানান তিনি। এই মিষ্টির দোকানের বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করার কথা জানান। এই বিষয়ে সমস্ত মিষ্টির দোকান গুলিকে ফের একবার অবগত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ফুড সেফটি লাইসেন্স আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। থাকলে সঠিক ভাবে দোকানে ঝোলানো থাকছে কিনা এই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখেন তারা। এই মিষ্টি তৈরিতে কি কি উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে তার তথ্যও তুলে ধরতে হবে বলে জানান সদরের অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বিনয় ভূষণ দাস। যারা নির্দেশ মানবেন না সেই সমস্ত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চলতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি। এদিন রাজধানীর বটতলা সহ বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চালানো হয়।