স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ৫ অক্টোবর।। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার কদর্য চেহারা ফের একাবার দেখলে চড়িলামবাসী। মা শব্দকে কালিমালিপ্ত করে সন্তানকে দিনের পর দিন আটকে রাখার মত কান্ড ঘটালেন এই মহিলা। গাছের সঙ্গে মাচা বেঁধে রাখা হত সন্তানকে। কি ছিল সন্তানের অপরাধ, কেন তাকে এই অসয্য যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। উত্তর একটাই সে অন্য পাঁচ জন থেকে একটু আলাদা। সামজিক ভাবে স্বীকৃতি দিতে গেলে তাকে দিব্যাংন বলা হয়। আর সেই কারনের সৎ মায়ের এই ব্যবহার জুটল তার ভাগ্যে। ঘটনা চরিলামের আড়ালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজীব কলোনি এলাকায়। ২৮ বছরের এই দিব্যাংন ছেলেকে আটকে রেখে নির্যাতন করত সৎ মা। এই খবর পেয়ে ছেলেটির বাড়িতে যান শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন নীলিমা ঘোষ সহ অন্যান্যরা।
বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান তিনি। রীতি মতো উদ্ধার করা হয় দিব্যাংন ২৮ বছরের এই ছেলেকে । পিতার নাম জীতেন্দ্র সরকার, সৎ মায়ের নাম আমোদীনি সরকার। পরে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন পরিবারের সদস্যদের কথা বলেন। পরিবার জানায় ছেলে বাড়ি ঘরে ভাঙচুর করে। তাই বাধ্য হয়ে এই পথ নিয়েছেন তারা। কিন্তু শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন নীলিমা ঘোষ জানান অভিভাবকেরা তাকে প্রথম থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় রাখেনি । জে কারনে তার মধ্যে এই হিংস্রতা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার দিব্যাংন শিশুদের জন্য একাধিক সুবিধা প্রদান করেছেন। তার সুবিধা তারা এতকাল নেয়নি। এমনকি তার শংসাপত্র রিনিউ করার জন্য নিয়ে যায়নি। এর থেকেই ধীরে ধীরে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে ২৮ বছরের দিব্যাংন যুবকের মধ্যে। তবে তাকে উদ্ধার করে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেখভালের জন্য।
গাইড লাইনে রয়েছে ১৮ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য শিশু সুরক্ষা কমিশন কাজ করবে। কিন্তু তার পরেও এই বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ভাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তার জন্য। এর পাশাপাশি বাড়ির জায়গায় পৃথক ভাবে ঘর থেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক পরিবেশে যাতে থাকতে পারে তার জন্য বলা হয়েছে বলে জানান শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন নীলিমা ঘোষ।