স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৫ অক্টোবর৷৷বাঁশের ফুল থেকে উৎপাদিত চাল অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক৷ এই চাল উৎপাদন করে একজন স্বরোজগারি হতে পারেন৷ এই চালের বাজারজাতকরণে উদ্যোগীদের এগিয়ে আসতে হবে৷ কারণ এই চালের ঔষুধি গুণের পাশাপাশি পুষ্টিগতমানও বেশি৷
আজ সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এক অনুষ্ঠানে ’ত্রিপুরা ব্যাম্ব রাইস’ বাজারজাতকরণের উপর গুরুত্ব দিয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি বলেন, রাজ্যে প্রথমবার বাঁশ ফুল থেকে প্রক্রিয়াজাত করে চাল উৎপন্ন করে বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বাঁশের চাষ হয়৷ এই বাঁশকে ভিত্তি করে রোজগারের উৎস সৃষ্টি হচ্ছে৷
সম্পতি বাঁশ করুল থেকে বিসুকট তৈরি করেছে রাজ্যের উদ্যোগীরা৷ এর পাশাপাশি এখন এই বাঁশের ফুল থেকে তৈরি হচ্ছে চাল৷ মুখ্যমন্ত্রী এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, বাঁশের ফুল থেকে চাল উৎপাদনের বিষয়টিকে প্রচারের আলোয়ও নিয়ে আসতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য চালের মতোই বাঁশের ফুল থেকে মিলিং করে এই চাল তৈরি করতে হয়৷ এই চাল সুুগার, কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে সহায়ক৷
পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই চাল৷ এই চালে অন্য চালের তুলনায় প্রোটিনও অধিক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বাঁশফুলের মাধ্যমে উৎপন্ন এই চালকে বাজারজাতকরণের জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার৷ এই অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা প্রশান্ত কুমার গোয়েল সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন৷