স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৪ অক্টোবর।। রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর একটিও রাজনৈতিক খুন হয়নি। কিন্তু রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম দাবি করছে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৪ টি রাজনৈতিক খুন হয়েছে। বরং বিরোধী দলের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের শাসক দলের কর্মীরা আহত হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য বহিঃরাজ্যে নিয়ে যেতে হচ্ছে। আর সন্ত্রাস কাকে বলে সেটা বিগত বাম আমলে রাজ্যের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যে তৎকালীন সময়ের সন্ত্রাসের পরিসংখ্যান ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে রাজ্যবাসীর কাছে তুলে ধরা হবে। এমনকি ভারতীয় জনতা পার্টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যে মাফিয়া রাজ চুরমার করে দেওয়া হয়েছে।
কিছু সিপিআইএম নেতা তার মদত দিতে চেষ্টা করছে।আর যারা রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলতা ভাঙতে চেষ্টা করবে তাদের ছাড়া হবে না। রবিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য। তিনি আরো বলেন, রাজ্যের সিপিএম আমলের মাফিয়ারা কার সাথে ছিল এবং তাদের পরিচয় কি তা হয়তো রাজ্যবাসী ভুলে নি। পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা দিয়েছে বর্তমান সরকার। অর্থাৎ ভারতীয় জনতা পার্টি চায় পূর্বে রাজ্যের সিপিআইএম যে সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল তার পরিবর্তন। আর বর্তমানে যেসব সন্ত্রাস ঘটছে রাজ্যে তার সাথে শাসক দলের কর্মীরা জড়িত এমন কোন প্রমাণ করে দেখাতে পারবে না রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম। কারণ ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা পূর্বের সিপিআইএমের সংস্কৃতি বদলে দিতে চাইছে।
কারণ সিপিআইএম গণতন্ত্র বিরোধী এবং একনায়কতন্ত্রের বিশ্বাসী। আর তাদের রিতিনীতি রাজ্যের সাংবাদিকরাও ভুলে যায়নি। তাদের রক্ত চক্ষুর কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে পারত না। খবরের কাগজ অন্যথায় যেতে পারত না, ক্যাডার এবং প্রশাসনিকভাবে কার্যক্রম চালাতে তারা বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ তোলেন তিনি। তিনি বলেন, রাজ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাও হ্রাস পাচ্ছে।২০১৮ সালে হামলার ঘটনা ১১৭৬ টি, ২০১৯ সালে হামলার ঘটনা ৯৬৭ টি এবং চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৬৭১ টি হামলার ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। এদিকে ধর্ষণের মতো ঘটনাও হ্রাস পাচ্ছে। ২০১৮ সালে রাজ্যে ধর্ষনের সংখ্যা ছিল ১০৬ টি, ২০১৯ সালে ধর্ষণের সংখ্যা ১০৫ টি এবং চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৬ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি চাইছে পুলিশের মাধ্যমে সেসব অপ্রীতিকর ঘটনা শূন্যের কৌঠায় নিয়ে আসতে।
আর সে অনুযায়ী গণতান্ত্রিকভাবে কাজ চলছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার রাজ্যের আরক্ষা প্রশাসনকে ক্ষমতা দিয়েছে যাতে পার্টি অফিস গুলি বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকছে অভিযান চালানোর। রাজ্যের কিছু মানুষের এমনটাও অভিযোগ রয়েছে সিপিএম পার্টি অফিসে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। সুতরাং ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার কোন ধরনের সন্ত্রাস মূলক কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেবে না। আর যারা সন্ত্রাসের প্ররোচনা করছে তারা যাতে সহসাই সঠিক পথ অবলম্বন করে তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র।