স্টাফ রিপোর্টার, মেলাঘর, ৩ অক্টোবর।। ছেলের বয়সী যুবকের বিকৃত লালসার শিকার ৪৫ বছর বয়স্কা এক জনজাতি মা৷ ঘটনা মেলাঘর থানাধীন চন্দুল এডিসি ভিলেজের কুকিয়াছড়া এলাকায়৷ অভিযুক্ত যুবকের নাম মনির হোসেন৷ এই ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য নির্যাতিতার সাথে কথা বলেছে ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল নির্যাতিতার বাড়িতে যায় পুলিশকে সাথে নিয়ে। নির্যাতিতার সাথে কথা বলে কমিশন পুলিশকে ব্যাবস্থা নিতে বলেছে।
যদিও স্থানীয় লোকজনের চাপে পড়ে মেলাঘর থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত মনির হোসেনকে৷ ঘটনা নিয়ে কুকিয়া ছড়া এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ চন্দুল এডিসি ভিলেজের কুকিয়াছড়া এলাকাতেই বাড়ি অভিযুক্ত মনির হোসেনের৷ একই এলাকায় বাড়ি নির্যাতিতা মহিলারও৷
মনির হোসেন মাতৃসমা এই মহিলার পেছনে বহুদিন ধরে কুমতলব নিয়ে ঘুরছিল বলে অভিযোগ৷ প্রায় সময় সে নাকি ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিত৷ তবে মনির হোসেনকে পাত্তা দিত না ওই মহিলা৷বুধবার বেলা তিনটে নাগাদ ওই নির্যাতিতা মহিলা কাজ শেষ করে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন৷ উনার ফেরার রাস্তায় রাবার বাগানের ভেতরে লুকিয়ে বসেছিল মনির হোসেন৷
নির্জন রাস্তায় হঠাৎ এ সে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মহিলাকে কুমতলবের জাপ্ঢে ধরে টেনে নিয়ে যায় রাবার বাগানের ভেতরের দিকে একটি লুঙ্গায়৷ সেখানে সে ওই মহিলার চূড়ান্ত অবমাননা করে এবং ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ তার কুকর্মের পরই মনির হোসেন ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়৷ পরে অত্যাচারিত বিধবস্ত নির্যাতিতা কোনো রকমে নিজের বাড়িতে ফিরে স্থানীয় লোকজনদের মনির হোসেনের কুকীর্তির কথা জানান৷
৪৫ বছর বয়স্কা এক মহিলার ওপর এ ধরনের নির্যাতন দেখে স্থানীয় লোকজনরা ক্ষেপে উঠে৷ অপরদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মেলাঘর থানায় মনির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ স্থানীয় লোকজনরা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে মনির হোসেনকে গ্রেফতারের দাবিতে চিন্তামণি সেতু চৌমুহনী এলাকায় পথ অবরোধ শুরু করে৷
এর পরেই টনক নড়ে মেলাঘর থানার পুলিশের৷ মনির হোসেনের খুঁজে শুরু হয় তল্লাশি৷ তল্লাশিকালে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত মনির হোসেন৷ বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে৷ মনির হোসেনের গ্রেপ্তারের পর স্থানীয় লোকজন তাদের পথ অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়৷ অভিযুক্ত মনির হোসেনের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দাবি করেছে কুকিয়াছড়া এলাকার লোকজনরা৷