স্টাফ রিপোর্টার, চুরাইবাড়ি, ৩০ সেপ্টেম্বর।। ৩০ থেকে ৩৫ জন রেশন ভোক্তাদের সরকারি ন্যায্য মূল্যে পাওয়া সামগ্রী আত্মসাৎ এর অভিযোগ ন্যায্য মূল্যের ডিলারের বিরুদ্ধে। ন্যায্য মূল্যের দোকানের সামনে রেশন ভোক্তদের প্রতিবাদ।অবশেষে গ্রাহকদের চাপে পড়ে রেশন সামগ্রী ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ডিলারের।ঘটনা ইচাইলালছাড়া ২ নং ন্যায্য মূল্যের দোকানে।ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,উত্তর জেলার কালাছড়া ব্লকাধীন ইচাইলালছাড়া ২ নং ন্যায্য মূল্যের দোকানটি দীর্ঘদিন যাবত ইচাইলালছাড়া কৃষি সমবায় সমিতির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছিলো।
কিন্তু বিগত তিন মাস যাবত ইচাইলালছাড়া কৃষি সমবায় সমিতির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়াতে বর্তমানে তৎকালীন ন্যায্য মূল্যের দোকানের ম্যানেজার সুনীল নাথের আওতায় রয়েছে ইচাইলালছাড়া দুই নম্বর ন্যায্য মূল্যের দোকানটি।বিগত তিন মাস থেকে উনি ইছাই লালছড়া ২ নং নায্যমূল্যের দোকানটি পরিচালনা করে আসছেন এবং বিভিন্ন সামগ্রী আত্মসাৎও করছেন এমনটাই অভিযোগ রেশন ভোক্তাদের।
ন্যায্য মূল্যের দোকানের স্থানীয় ভোক্তাদের অভিযোগ,রেশন ডিলার সুনীল নাথ ইচাইলালছাড়া ২ নং ন্যায্য মূল্যের দোকানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ব্যাপক দুর্নীতি করে আসছেন। স্থানীয়রা জানান,ইচাইলালছাড়া ২ নং ন্যায্য মূল্যের দোকানে প্রায় ৫০০ জন রেশন ভোক্তা রয়েছেন।অধিকাংশ সময়ে রেশন ভোক্তারা উনাদের রেশন সামগ্রী নেওয়ার জন্য ন্যায্য মূল্যের দোকানে আসলে রেশন মালিক সুনীল নাথ ভোক্তাদের ঘুরিয়ে দিয়ে অযথা হয়রানি করছে বলে ভোক্তাদের অভিযোগ।কোন কোন সময় সার্ভার ডাউন বলে ভোক্তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে তাদের রেশন সামগ্রী আত্মসাৎ করেছেন বলে এমনটা দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ ছিল।
কিন্তু ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ গতকাল ইচ্ছাই লালছড়া ২ নং ন্যায্য মূল্যের দোকানের ভোক্তারা উনাদের রেশন সামগ্রী তুলার জন্য নায্য মুলের দোকানে যান। কিন্তু ৩০ থেকে ৩৫ জন ভোক্তারা রেশন সামগ্রী পাননি। রেশন ডিলারের বক্তব্য,রেশন সামগ্রী শেষ হয়ে গিয়েছে। রেশন ডিলারের এই বক্তব্যের প্রতিবাদে নেমে পড়েন রেশন সামগ্রী নিতে আসা ভোক্তারা।উনারা উনাদের ন্যায্য রেশন সামগ্রী পাওয়ার জন্য ন্যায্য মূল্যের দোকানের সামনে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেন। অবশেষে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রেশন ডিলার উপস্থিত তাদের আশ্বস্ত করেন,যেসকল ভোক্তারা রেশন সামগ্রী পাননি তাদেরকে আজ রেশন সামগ্রী প্রদান করবেন।এবং উনার পকেটের টাকা খরচ করে তাদের রেশন সামগ্রী দেবেন বলেও আশ্বস্ত করেন। আর তাতে রেশন ভোক্তারা চটে লাল হয়ে পড়েন।
রেশন ভোক্তাদের দাবি, উনারাতো সেপ্টেম্বর মাসে কোন রেশন সামগ্রী নেননি।তাহলে রাজ্য সরকার যে রেশন সামগ্রী ফুড মারফত প্রেরণ করলেন সেই রেশন সামগ্রী কোথায় গেল। এমনকি সেপ্টেম্বর মাসও শেষ হয়নি সুতরাং উনাদের রেশন সামগ্রী ন্যায্য মূল্যের দোকানে মজুদ থাকার কথা।তবে স্থানীয়দের পূর্বের অভিযোগগুলি যে চির সত্য তা রেশন ডিলারের বক্তব্যে বেরিয়ে পড়ে। কিছু কিছু ভোক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বাম জমানায় বাম মার্গীয় নেতারা গরিব মানুষদের রেশন সামগ্রী সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ন্যায্য মূল্যের দোকানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
আর গরিব মানুষদের টুপি পরিয়ে,নানাভাবে অজুহাত দেখিয়ে তাদের ন্যায্য রেশন সামগ্রী দীর্ঘদিন যাবত বাঁকা পথে আত্মসাৎ করে আসছিলেন।সুতরাং সেই সকল বাম মার্গীয় দুর্নীতিবাজ রেশন ডিলারদের দিকে একটু নজর রাখুক সংশ্লিষ্ট দপ্তর। নতুবা সাধারন জনগনের রেশন সামগ্রী জনগণের কাছে না পৌঁছে বাঁকা পথে ওইসব দুর্নীতিবাজ রেশন ডিলার আত্মসাৎ করে আসবে।এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ওই রেশন ডিলার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে?