সুরসম্রাট কুমার শচীন দেববর্মণের জন্মজয়ন্তী পালিত রাজ্যে

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১ অক্টোবর।। কুমার শচীন দেববর্মণ ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এক উজ্জ্বল নাম। তাঁর সংগীত প্রতিভা অতুলনীয়। এরকম একজন কিংবদন্তী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের আদর্শ ও কর্মধারাকে পাথেয় করেই রাজ্যের সাংস্কৃতিক জগতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়ােজিত সুরসম্রাট কুমার শচীন দেববর্মণের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানের সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন প্রাঙ্গণস্থিত শচীন কর্তার আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আরও বলেন, শচীন দেববর্মণ বাংলা ও হিন্দী মিলিয়ে অসংখ্য ছায়াছবিতে সঙ্গীতের সুর দিয়েছেন। তিনি শুধু সুরকারই ছিলেন না প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীও ছিলেন। তাঁর গানে আজও নতুন প্রজন্ম আকৃষ্ট হয়। তিনি পদ্মশ্রী, ফিল্মফেয়ার সহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

ত্রিপুরার রাজ পরিবারের কৃতি সন্তান শচীন দেববর্মণ এবং তাঁর পুত্র রাহুল দেব বর্মণ ত্রিপুরা বাসীর কাছে চিরকালের এক গর্বের নাম। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নতুন সরকার রাজ্যের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল বিকাশে বিবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কালচারাল হাব তৈরীর উদ্যোগ অন্যতম। যাতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মহান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের জীবনদর্শন ও সাংস্কৃতিক কর্মগুলি প্রদর্শিত হবে। এতে বিকশিত হবে এই অঞ্চলের সাংস্কৃতি পরিবেশ। উজ্জীবিত হবে নতুন প্রজন্ম।

তাছাড়া সরকার যাত্রা শিল্পেরও পুনরুজ্জীবনে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আমাদের মানসিক ও ব্যক্তিত্বের বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে। মনের রসদ জোগায়। তিনি আরও বলেন রাজ্যের জাতি ও জনজাতি সম্প্রদায়ের সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এই কাজে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পাশাপাশি রাজ্যের শিল্পী সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন।

ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতিকে কিভাবে সমগ্র বিশ্বের সম্মুখে তুলে ধরা যায় এর জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছেন। প্রধানমন্ত্রী যে দিশাতে কাজ করে চলছেন সবাই মিলে একই দিশাতে কাজ করলে দেশ ও রাজ্য অচিরেই শক্তিশালী হয়ে উঠবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্রা। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা ডি কে চাকমা, রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ দেব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীবৃন্দ। এরপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয় মনােজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?