অনলাইন ডেস্ক, ২৯ সেপ্টেম্বর।। সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন উত্তর প্রদেশের হাথরাসের ‘গণ-ধর্ষিতা’ তরুণী। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে গণ-ধর্ষিতা ওই তরুণীর। হাথরসের তরুণীকে গণ-ধর্ষণের পাশাপাশি তাঁর উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (জেএনএমসি)-এ চিকিৎসা চলছিল তাঁর। সেখান থেকে ওই তরুণীকে স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে সফদরজং হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ওই তরুণীকে গণ-ধর্ষণের ঘটনায় চার অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গণ-ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছিল ওই তরুণীর উপর। প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করে দুষ্কৃতীরা। মুখমণ্ডলে একাধিক জায়গা, জিভে কামড়ের গভীর ক্ষত। শিরদাঁড়া ও ঘাড় মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অসাড় ছিল দুই পা এবং একটি হাত। আইসিইউ-তে রেখে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় দিল্লির হাসাপাতালে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই মৃত্যু হয়েছে নির্যাতিতা ওই তরুণীর।ওই তরুণীর পরিবার সূত্রের খবর, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাড়ির কাছেই একটি জমিতে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী।
বিকেলের দিকে ভাই বাড়িতে চলে যায়। মায়ের থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন ওই তরুণী। সেই সময় পিছন থেকে দিদিকে আক্রমণ করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টানতে টানতে একটি বাজরা খেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচার চালায় ও গণ-ধর্ষণ করে। পরে মা খুঁজতে খুঁজতে মেয়েকে উদ্ধার করেন অচৈতন্য অবস্থায়। এই ঘটনায় উচ্চবর্ণের চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।