অনলাইন ডেস্ক, ২৯ সেপ্টেম্বর।। জনজীবন শান্ত রাখার কারণ দেখিয়ে একজন মানুষকে কত দিন আটকে রাখা যেতে পারে? মঙ্গলবার এক মামলার শুনানিতে কেন্দ্রকে এই প্রশ্ন করল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। ২০১৯-এর ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তার আগের দিন অর্থাৎ ৪ অগস্ট বন্দি করা হয় জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক নেতা-নেত্রীকে। যার মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি।
এক বছরেরও বেশি সময় তিনি গৃহবন্দি রয়েছেন। মুক্তির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন মেহবুবার মেয়ে। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের সমালোচনা করল শীর্ষ আদালত। সরকারের পক্ষ থেকে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। বিচারপতি সঞ্জয় কে কলের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ মেহতাকে প্রশ্ন করে, জন সুরক্ষা আইনে কোনও একজনকে কি ডিটেনশন সেন্টারে আজীবন বন্দি রাখা যায়? আমরা আপনাদের কাছে জানতে চাই, জন সুরক্ষা আইনে কতদিন একটা মানুষকে বন্দি করে রাখা যেতে পারে? একজন জননেত্রীকে আপনারা কি কারণে এক বছরেরও বেশি সময় বন্দি রেখেছেন তা জানান।
তবে এদিনের শুনানিতে মেহবুবার মেয়ের করা অপর একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বেঞ্চ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে ইলতিজা আদালতে আর্জি জানান, তাঁর মাকে যেন দলীয় কর্মীদের সভায় যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। আদালত অবশ্য ইলতিজার করা এই আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য দীর্ঘ আট মাস বন্দি থাকার পর চলতি বছরের মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরে আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। অন্যদিকে কেন্দ্রের পাল্টা দাবি, মেহবুবার মত নেত্রীকে এখনই মুক্তি দেওয়া হলে ভূস্বর্গ অশান্ত হতে পারে। কারণ অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, নেত্রীর উস্কানিমূলক ভাষণে কাশ্মীরে অশান্তি ছড়িয়েছে। সে কারণেই তাঁকে বন্দি রাখা হয়েছে। শীর্ষ আদালত অবশ্য সরকারের এই বক্তব্য মানতে অস্বীকার করে। ইলতিজার আইনজীবী এদিন আদালতের কাছে মেহবুবাকে সপ্তাহে দুদিন বাড়িতে ফোনে কথা বলতে দেওয়ার আর্জি জানান।