অনলাইন ডেস্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর।। গোটা দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখানেই শেষ নয়, দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বা সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউনে শিথিলতা দেওয়ার পর মানুষ আরও বেশি করে বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে কারণেই রাজ্যে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।রবিবার ছুটির দিন হলেও এদিন নাসিক ও মারাঠাওয়াড়া ডিভিশনের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে করোনা নিয়ে একটি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তরাই সরকার ও প্রশাসনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এরাই বেশি করে রোগ ছড়াচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ব্রিটেনে উপসর্গহীনদের বাড়িতে চিকিৎসা হচ্ছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তবেই সেখানে উপসর্গহীনদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আমাদের রাজ্যেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের রাজ্যে উপসর্গহীন মানুষই সবচেয়ে বেশি বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিজেদের অজান্তেই তারা অন্যদের সংক্রামিত করছে। উপসর্গহীনদের বুঝতে হবে, বাড়িতেও তাদের সাবধানে বা আলাদা থাকা উচিত। কারণ বৃদ্ধ মা-বাবা থেকে শুরু করে সন্তান-সন্ততি যে কেউ তাদের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। তাই ‘আমার পরিবার আমার দায়িত্ব’ এ কথা মাথায় রেখে চলতে হবে উপসর্গহীনদের।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন, যে সমস্ত উপসর্গহীন ব্যক্তি অবাধে এবং সতর্কতামূলক বিধি না মেনে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন। উপসর্গহীনদের সম্পর্কে মানুষকে আরও বেশি করে সচেতন করে তুলুন। করোনার পরীক্ষা আরও বাড়ান। অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উপর ভরসা না করে আরটি-পিসিআর টেস্ট বেশি করে করুন। কারণ অ্যান্টিজেন টেস্ট রিপোর্ট সব সময় সঠিক নাও হতে পারে। উল্লেখ্য, রবিবার সকাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৭১ জনের। আকটিভ কেসের সংখ্যা ২ লাখ ৭৩ হাজার ২০৩।