স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৭ সেপ্টেম্বর।। রাজধানী আগরতলা শহরে ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনী এলাকায় গতকাল রাতে পাঁচটি দোকানে পরপর চুরির ঘটনা ঘটেছে। রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘিরে ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ সূত্রে জানা গেছে চোরের দল দোকানের দরজা ভেঙ্গে এবং টিনের ছাউনি কেটে ভিতরে ঢুকে এই চুরির ঘটনা সংঘটিত করেছে। রবিবার সকালে দোকানের দরজা ভাঙা দেখে স্থানীয় লোকজন দোকানের মালিকদের খবর দেন। খবর পেয়ে দোকানের মালিক রা ছুটে আসেন।
তাদের অনেকেরই দোকানের দরজা ভাঙ্গা আবার অনেকের দোকানের টিনের ছাউনি কেটে চোরের দল দোকানের ভিতরে ঢুকেছে। একই সাথে থাকা পাঁচটি দোকানে এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা সংঘটিত করেছে চোরের দল। ৬ লক্ষাধিকটাকার জিনিসপত্র হাতিয়ে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। চুরির ঘটনার খবর পেয়ে আগরতলা পশ্চিম থানার পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করেছে।তবে চুরি যাওয়া মালপত্র উদ্ধার কিংবা চোরদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এই ধরনের চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।উল্লেখ্য রাজধানী আগরতলা শহর ও শহরতলীর এলাকায় লকডাউন এবং কারফিউ র মধ্যেই ব্যাপক সংখ্যায় চুরির ঘটনা ঘটে চলেছে।পরপর এসব দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে চললেও পুলিশ কোন ক্ষেত্রে কোনো সাফল্য পাচ্ছে না।
এ ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর আস্থা হারাতে শুরু করেছেন।খোদ রাজধানী আগরতলা শহরে নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে এ ধরনের চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়োগ প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। পুলিশ সক্রিয় থাকলে এ ধরনের চুরির ঘটনা কোনোভাবেই সংগঠিত হতো না বলে অনেকের অভিমত।থানার নাকের ডগায় এবং রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ের নাকের ডগায় পর পর এসব চুরির ঘটনা পুলিশকে রীতিমতো প্রশ্নচিহ্নের দাঁড় করিয়েছে।এখন দেখার বিষয় রাজ্য পুলিশের সদর কার্যালয়ে নাকের ডগায় একই যাতে পাঁচটি দোকানে চুরির ঘটনার পর পুলিশ কি ভূমিকা গ্রহণ করে।