অনলাইন ডেস্ক, ২৭ সেপ্টেম্বর।। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আর ঠিক এক মাস বাকি আছে। এই নির্বাচনের আগে শাসকদল জেডিইউতে যোগ দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ প্রধান গুপ্তেশ্বর পান্ডে। করোনাজনিত বিধিনিষেধ জারি থাকায় এদিন কোন বড় অনুষ্ঠান হয়নি। ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও দলের অন্য শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে জেডিইউতে যোগ দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ প্রধান গুপ্তেশ্বর।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে রাজ্যের পুলিশ প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় শোনা যাচ্ছিল, তিনি রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন।
গুপ্তেশ্বর নিজেও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আভাস দিয়েছিলেন। গুপ্তেশ্বর বলেছিলেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়া কি অসাংবিধানিক? বিষয়টি কি বেআইনি? আমি যদি রাজনীতিতে যোগ দিই তাহলে সমস্যা কোথায়? গুপ্তেশ্বর বিহারের বক্সার জেলার বাসিন্দা। গত সপ্তাহে গুপ্তেশ্বর বলেছিলেন, তিনি জনতার ডিজিপি। বক্সারের জনতা তাঁকে বলে দেবে তিনি এরপর কি করবেন। বক্সারের মানুষ যদি সম্মতি দেন তাহলে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেবেন। বিহারের ৩৪ টি জেলার জন্যই তিনি কাজ করেছেন বলে গুপ্তেশ্বর জানান।নির্বাচনের আগে প্রাক্তন ডিজি নীতীশ কুমারের দলে যোগ দেওয়ায় শাসক দলের শক্তি অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তিন দফায় বিহারে ভোট হবে ২৮ শে অক্টোবর ৩ এবং ৭ নভেম্বর।
নির্বাচনের আগে শাসক দল যখন অনেকটাই নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে তখন এখনও পর্যন্ত ছন্নছাড়া অবস্থা বিরোধীদের। রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল আরজেডি ও কংগ্রেস এখনও নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা করে উঠতে পারেনি। যার প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবারের নির্বাচনে এগিয়ে থেকেই লড়াই শুরু করবেন নীতীশ কুমার। আরও একবার নীতিশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রায় নিশ্চিত। তিন দফা ভোটের শেষে বিহারের ভোট গণনা হবে ১০ নভেম্বর। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়েছে, করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ কঠোরভাবে মেনেই বিহারে ভোট গ্রহণ হবে।