স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৪ সেপ্টেম্বর।। সম্প্রতি সরকারপক্ষ রাজ্যসভায় কৃষক বিরোধী ৩ টি আইন পাশ করে নিয়েছে। বিলগুলি কৃষকদের সম্পূর্ণ স্বার্থ বিরোধী। কৃষকদের সর্বনাশ ডেকে আনবে। সরকারের এ ধরনের বিল পাসের ফলে কৃষকদের বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে। দেশে খাদ্যের অবস্থা আগামীদিনে চরম আকার ধারণ করবে। এতে বিদেশ থেকে খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে দেশে। মজুদদারের কালোবাজারি সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছেমতো পণ্য মজুদ করতে পারবে মজুদদারেরা। এবং মজুদদারেরা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য অভাব দেখিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করবে। এমনকি এই সরকার ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান শিল্পপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। শিল্পপতিদের স্বার্থ রক্ষা করা সরকারের একমাত্র উদ্দেশ্য।আর নির্বাচন আসলে শিল্পপতিদের অর্থ দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া বর্তমান বিজেপি সরকারের একমাত্র লক্ষ।
আর সরকারের এ ধরনের একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্তে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির মধ্যে এ আই সি সি -এর বিশেষ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় গত ২১ সেপ্টেম্বর। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বিজেপি সরকারের কৃষকদের আইনের বিরুদ্ধে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর কংগ্রেস কর্মী এবং নেতৃত্বরা সারাদেশে স্পিক আপ ফর ফার্মার প্রচারে নামবে।প্রচার হবে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। পরবর্তী কর্মসূচি হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। সারাদেশে কংগ্রেস কর্মী এবং নেতৃত্বরা মহাত্মা গান্ধী মূর্তি পাদদেশে জমায়েত হয়ে সেখান থেকে রাজ্যপালের কাছে রাষ্ট্রপতি উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি জমা দিতে মিছিল করে যাবেন।
আগামী ২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে কংগ্রেস কর্মীরা বুথ, পঞ্চায়েত স্তর থেকে সারাদেশে কালো আইনের বিরুদ্ধে ২ কোটি কৃষক, দোকানদার, শ্রমিক, কংগ্রেস সমর্থকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে অভিযানে নামবে। আগামী ৭ নভেম্বর মধ্যে এআইসিসি -তে জমা হবে এবং এআইসিসি ১৪ নভেম্বর জহর লাল নেহেরুর জন্মদিনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কাছে জমা দেবে। অপরদিকে আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিনে কংগ্রেস কিষান মজদুর বাঁচাও দিবস হিসেবে প্রত্যেক বিধানসভা অঞ্চলে ও জেলা স্তরে ধর্ণা এবং প্রতিবাদে সামিল হবে। আগামী ১০ অক্টোবর কংগ্রেসের রাজ্যভিত্তিক কেন্দ্রীয় অফিসে কিষান সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস।
পাশাপাশি তিনি এদিন ১০,৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের প্রসঙ্গে বলেন, ১০,৩২৩ চাকুরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে সরকারের ভূমিকা অমানবিক এবং অগণতান্ত্রিক। শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি। আর রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রতিশ্রুতির খেলাপ করে শীর্ষ আদালতে গিয়ে চাকুরি মেয়াদ বৃদ্ধি জন্য । নয়তো রাজ্যের স্কুলগুলি অচল হয়ে পড়বে। কিন্তু চাকুরি রক্ষার্থে একবারের জন্যও শীর্ষ আদালতে গিয়ে বলে নি সরকার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। আর সরকারের এই ধরনের প্রটিশনে স্পষ্ট ইঙ্গিত সরকার তাদের চাকুরিতে রাখতে চায় না। তাই সাংবাদিক সম্মেলন করে বলছে পর্যায়ক্রমে তাদের নিয়োগ করা হবে। এটা সরকারের প্রতারনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। কারণ সরকার চাকরির ক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উল্টো পথে হাঁটছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।