স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২২ সেপ্টেম্বর।।রাজধানী আগরতলা শহরের বয়েজ বোধজং সুকল থেকে একসঙ্গে ১১জন শিক্ষককে অন্যত্র বদলি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ মঙ্গলবার এই বদলির নির্দেশ জানার পরই বয়েজ বয়েজ বোধজং সুকলের ছাত্র এবং অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷ ক্ষুব্দ ছাত্র এবং অভিভাবকরা প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হোন৷
তা সুকলের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে অবিলম্বে বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য শিক্ষা দপ্তরের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন৷একসঙ্গে ১১ জন শিক্ষক বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করে না নিলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ বোধজং সুকলের শিক্ষকদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনমনে ও তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ শিক্ষা দপ্তরের এধরনের নির্দেশ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে এলাকার বিভিন্ন মহল থেকে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে৷
বোধ জং সুকলের ছাত্র এবং অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে এমনিতেই এ বছর পড়াশোনা লাটে উঠেছে৷একদিকে যখন করোনা সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতিতে পড়াশোনা লাটে উঠেছে ঠিক সেই সময়ে একসঙ্গে ১১ জন শিক্ষক অন্যত্র বদলির নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন৷একসঙ্গে এত বিশাল সংখ্যক শিক্ষককে বদলি করতে কোন ভাবে দেওয়া হবে না বলে তারা স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷
এই বদলির নির্দেশ কার্যকর হলে বোধ জং সুকলের শিক্ষাব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে পড়বে বলেও তারা মন্তব্য করেন৷অবিলম্বে শিক্ষা দপ্তর কে বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সুকলের হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন ছাত্র এবং অভিভাবকরা৷উল্লেখ্য রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর রাজধানী আগরতলা শহরের যেসব সুকলে প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন তাদেরকে পর্যায়ক্রমে অন্যত্র সুকলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা তুলনায় শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা অনেক কম সে সব জায়গায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে৷
ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শিক্ষা দপ্তর৷ এরই অংশ হিসেবে বয়েজ বোধ জং সুকলের একজন শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ শহর এলাকার অন্যান্য সুকল থেকেও শিক্ষক বদলির নির্দেশ ইতিমধ্যেই কার্যকর হবে বলে জানা গেছে৷করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতির মধ্যেই এভাবে শিক্ষক বদলির ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগজনক বলে বিভিন্ন মহল অভিমত ব্যক্ত করেছে৷যখন রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে পড়েছে ঠিক সেই সময়ে এ ধরনের বদলে দিতে কার্যকর করার কোনো যোগ্যতা থাকতে পারে না বলেও বিভিন্ন মন্তব্য করেছে৷