স্টাফ রিপোর্টার, বিশালগড়, ২৩ সেপ্টেম্বর।। গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশের মূল ভিত্তি হচ্ছে কৃষি৷ মহাত্মা গান্ধী গ্রাম স্বরাজের কথা বলেছিলেন৷ কিন্তু আমাদের দেশে সেই গ্রাম স্বরাজের স্বপ বাস্তবায়িত হয়নি৷ দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী গ্রাম স্বরাজের সেই স্বপ বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ নিয়েছেন৷ আজ বিকেলে চড়িলাম ব্লকে কমষক বন্ধ কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি কার্যালয়ের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা একথা বলেন৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়৷ চড়িলাম ব্লক সংলগ এই কৃষক বন্ধ কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি কার্যালয় নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪৭ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা৷
এবছরের জানুয়ারি মাসে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল৷ কৃষি দপ্তরের কারিগরি শাখা এটি নির্মাণ করে৷ কৃষক বন্ধু কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি কার্যালয়ের উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে কৃষিপণ্যের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য সরকার উদ্যোগ নিয়েছে৷ কৃষকরা যাতে বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদে আগ্রহী হতে পারেন সেই লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক বন্ধ কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, কৃষির বিকাশ ও কৃষকের কল্যাণে কেন্দ্র ও রাজ্যের উভয় সরকারই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার সম্পতি দেশের কৃষকদের কল্যাণে ও কৃষির সামগ্রিক বিকাশে ক’ষি সংস্কার বিল প্রণয়ণ করেছেন৷ এই কৃষি সংস্কার বিল দেশের কৃষি বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে৷
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে কৃষিমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি কৃষি নির্ভর৷ তাই কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা মত রাজ্যও কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে৷ কৃষক কল্যাণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি রাজ্যের কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেন, রাজ্যে পাট্টাপ্রাপক জনজাতি সম্পদায়ের কৃষকদেরও প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধির আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ রাজ্যের বর্গাচাষীদেরও সহায়তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী তিনজন কৃষকের হাতে পাওয়ারটিলার তুলে দেন৷ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুুপ্রিয়া দাস দত্ত, সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক বিশ্বশ্রী বি৷ সভাপতিত্ব করেন চড়িলাম পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাজেশ দাস৷