স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২১ সেপ্টেম্বর।।
কংগ্রেসের ডাকা বন কে কেন্দ্র করে সোমবার ঊনকোটি জেলা এলাকায় ব্যাপক হিংসাত্মক ঘটনার খবর মিলেছে। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিরোধী সিনহার ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদ সহ অন্যান্য বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস দল ২১ সেপ্টেম্বর রাজ্যে বন্ধের ডাক দেয়।
বন্ধকে সফল করার জন্য রাজধানী আগরতলা শহর রাজ্যের সর্বত্র কংগ্রেস নেতা কর্মী সমর্থকরা পিকেটিং করেন।রাজধানী আগরতলা শহরে কংগ্রেস ভবনের সামনে দলীয় নেতা-কর্মী সমর্থকরা টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হোন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়।
বিভিন্ন সরকারি ও অফিস-আদালতের সামনে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা পিকেটিং করেন। বন্ধের বিরোধিতা করে পাল্টা পিকেটিং করেছে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। বন্ধ সর্বাত্মক সফল হয়েছে বলে কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পক্ষান্তরে শাসক দল বিজেপির সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেছে।
রাজধানী আগরতলা শহর ও শহরতলীর এলাকায় যে চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে তাতে বন্ধে পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে বন্ধের কারণে বেশিরভাগ দোকানপাট খোলেনি ব্যবসায়ীরা। রাস্তাঘাটে তেমন যানবাহন চলাচল করেনি। অফিস-আদালতে বাধ্য হয়ে কর্মচারীদের একাংশ উপস্থিত হলেও তা অন্যান্য দিনের তুলনায় খুবই নগণ্য।
আগরতলা শহরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু সংখ্যক পিকেটারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অবশ্য পরবর্তী সময়ে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে বিনা শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়।কৈলাশহর থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন ভোটকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে কম করে বারো জন আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর মৃত লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।সংবাদ সূত্রে জানা গেছে বন্ধের সমর্থনে কংগ্রেস নেতা কর্মী সমর্থকরা পিকেটিং করার চেষ্টা করলে শাসক দলীয় সর্মথকরা তাদের বাধা দেয়। এ দিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ চরম আকার ধারণ করে।পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে রীতিমতো বেগ পেতে হয়েছে।
কৈলাশহরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আগে থেকেই আরক্ষা প্রশাসন সক্রিয় ছিল।আরক্ষা প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা সত্ত্বেও উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে১২ জন রক্তাক্ত হয়েছে।কুমারঘাট থেকে আমাদের প্রতিনিধি জানিয়েছেন বন্ধের সমর্থনে কংগ্রেস সমর্থক রা ও মার্কেটে পিকেটিং করেছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল।পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পিকেটারদের আটক করে। তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখান থেকে বিশেষ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়।কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে দেওয়ার জন্য পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে সরকার পক্ষ। এভাবে বিরোধীদের আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না বলেও তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য স্থান থেকে বন কে কেন্দ্র করে সারা পাওয়ার খবর মিলেছে।