স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৮ সেপ্টেম্বর।। বাঁশ রাজ্যের একটি প্রাকৃতিক সম্পদ৷ আমাদের রাজ্যে বাঁশজাত শিল্পের একটা ঐতিহ্য রয়েছে৷ এখানে বাঁশের নানাবিধ শিল্প সামগ্রী উৎপাদিত হয়৷ বাঁশের তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী দেশ বিদেশে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে রাজ্যের যুবক-যুবতীদের আর্থিক উপার্জন বাড়ানোর উপর সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে৷ আজ সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসকক্ষে রাজ্যে প্রথমবারের মতো বাঁশ কুড়োলের তৈরি বিসুকটের বাজারজাতকরণের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব একথা বলেন৷
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাঁশের কুড়োল রাজ্যের জনজাতিদের প্রধান খাদ্য হলেও বর্তমানে তা জাতি-জনজাতি উভয় সম্পদায়েরই প্রিয় খাদ্য হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে৷ কারণ বাঁশ কুড়োলে পুষ্টিমুল্য অধিক পরিমাণে রয়েছে৷ বাঁশ কুড়োলে প্রোটিন, ভিটামিন সহ বড়মাত্রায় ফসফরাস, কপার, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি খনিজ পদার্থ রয়েছে৷ বাঁশ কুড়োলে এছাড়াও অ্যান্টি ক্যান্সারাস, অ্যান্টি ভাইরাস এবং অ্যান্টিবায়োটিক এই তিনটি গুণ রয়েছে৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষের রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হল ফ্যাট ও সুুগার বেড়ে যাওয়া৷ এগুলি বেড়ে যাওয়ার ফলে দেহে অন্যান্য রোগের উপসর্গও চলে আসে৷ বাঁশ কুড়োলের মধ্যে ফ্যাট ও সুুগারের মাত্রা খুব কম হওয়ার কারণে বাঁশ কুড়োল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী৷ এছাড়াও বাঁশ কুড়োলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বড়মাত্রায় রয়েছে৷
বাঁশ কুড়োল দিয়ে তৈরী বিসুকটের অন্যতম কাঁচামাল মুলি বাঁশ রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে৷ রাজ্য সরকার বাঁশের তৈরী বোতলের মধ্যে বাঁশ কুড়োলের বিসুকট বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে৷ সম্পর্ণভাবে অর্গানিক মুলি বাঁশ কুড়োল দিয়ে তৈরি বিসুকট সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে রাজ্যের যুবক-যুবতীদের আর্থিক উপার্জন বৃদ্ধির পাশাপাশি সব অংশের মানুষ উপক’ত হবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেন৷
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য সরকার বাঁশের তৈরি বোতলে রাজ্যের প্রাক’তিক শুদ্ধ মধু বাজারজাতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এরফলে বাঁশের তৈরি বোতল বিক্রির পাশাপাশি খাদি ও গ্রামোদ্যোগ পর্ষদের মাধ্যমে ত্রিপুরার মধুও বাজারজাত করা যাবে৷ তাতে রাজ্যের উদ্যোগীদের জন্য নতুন একটি রোজগারের পথও খুলে যাবে বলে মুখ্যমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন৷