স্টাফ রিপোর্টার, কদমতলা, ১৯ সেপ্টেম্বর।। আবারো উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেশা বিরোধী অভিযান। ত্রিপুরা আসাম সীমান্তের প্রেমতলা এলাকায় নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়ে উদ্ধার ২ প্যাকেটে ৪৫ গ্রাম হেরোইন। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা। সাথে আটক বাবলু দাস(১৯) নামের অসমের লোহার পোয়ার এক নেশা কারবারি।কদমতলা থানার পুলিশ একটি এনডিপিএস ধারায় মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।ধৃত নেশা কারবারিকে আজ ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করবে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।আর তাতে নেশা বিরোধী অভিযানে একের পর এক সাফল্যের পালক কুড়াচ্ছেন।
অনুরূপ গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটা নাগাদ ত্রিপুরা আসাম সীমান্তের কদমতলা থানাধীন প্রেমতলা এলাকায় নেশা বিরুদ্ধে অভিযান চালান পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী। পুলিশ সুপারের কাছে গোপন সংবাদ ছিল আসাম থেকে বেশকিছু হেরোইন রাজ্য পাচার হবে। সেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার কদমতলা থানার ওসি ও বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে চুরাইবারি কদমতলা সড়কের প্রেমতলা এলাকায় উৎপেতে বসে থাকেন।
রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ বছর উনিশের এক যুবককে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে দুই প্যাকেট হেরোইন উদ্ধার করতে সক্ষম হন পুলিশ সুপার। দুই প্যাকেটে ৪৫ গ্রাম হেরোইন মজুদ রয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা। সাথে আটক করা হয় নেশা কারবারি বাবলু দাস (১৯) পিতা বীরেন্দ্র দাসকে। জানা গেছে ধৃত যুবকের বাড়ির পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামের করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়া থানাধীন লোহার পোয়া এলাকায়।
কদমতলা থানার পুলিশ 49 নম্বরের ভারতীয় দণ্ডবিধির 22(c)/8 NDPS ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। বর্তমানে ৪৫ গ্রাম হেরোইন সহ নেশা কারবারি বাবুল দাস কদমতলা থানার হেফাজতে রয়েছে। আজ ধৃত নেশা কারবারিকে ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করবে পুলিশ।
এদিকে পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়ে বিপুল সাফল্য পেয়েছে পুলিশ। করোনা মহামারীর জন্য বর্তমানে ত্রিপুরা অসম সীমান্তের সকল সিল করা রয়েছে শুধুমাত্র চুড়াইবাড়ি ৮ নং জাতীয় সড়ক ছাড়া। সুতরাং নেশা কারবারিরা পায়ে হেঁটে রাজ্যে প্রবেশ করে নেশা সামগ্রী পাচার করছে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর পায়ে হেঁটে প্রবেশের সময় চুরাইবাড়ি থানা এলাকায় এক নেশা কারবারিকে হেরোইনসহ আটক করা হয়েছিল। অনুরূপ আজও কদমতলী থানা এলাকায় পায়ে হেঁটে প্রবেশের পথে এক নেশা কারবারিকে হেরোইনসহ আটক করেছে পুলিশ,বলে জানান পুলিশ সুপার।
তবে ধৃত নেশা কারবারিরা বহি রাজ্য আসাম থেকে নেশা সামগ্রী গুলি চোরাপথে রাজ্যে প্রবেশ করে রাজ্যের কিছু নেশা কারবারিদের হাতে হস্তান্তর করার কথা ছিল।পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী আরো জানান, আগামী দিনেও এধরনের নেশা বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এই পাচার চক্রের মূল চক্রকে জালে তুলবে পুলিশ।
অপরদিকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী নেশা বিরোধী অভিযানে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কিন্তু ত্রিপুরা অসম সীমান্তের কদমতলা চুড়াইবাড়ি থানা বাবুদের কোন হেলদোল নেই।
বিশেষ করে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার মহোদয় নেশা বিরোধী অভিযান করা তো দূরের কথা উনার থানা এলাকায় রাতের টহলদারি টুকু করতে পারছেন না। পুলিশ সুপার উনার সকল দায়িত্ব কর্তব্য ছাড়ে কৃষ্ণধন বাবুর থানা এলাকায় নেশা বিরোধী অভিযান করে সাফল্য কুড়াচ্ছেন।
আর কদমতলা থানার গুণধর বড়বাবু বসে বসে বুড়ো আঙ্গুল চুষেন। সুতরাং কদমতলা থানা এলাকার স্থানীয় জনগণ গুণধর ওসি কৃষ্ণধন সরকারের অন্যত্র বদলির জোরালো দাবী তুলছেন। এখন দেখার বিষয় পুলিশ সুপার কদমতলা থানার ওসির ভূমিকা নিয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।