নেশাসামগ্রী না পেলে কি অবস্থা হয় এই ঘটনা বলে দিচ্ছে : প্রতীমা ভৌমিক

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ সেপ্টেম্বর।। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে জিবির কোভীড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। গত দুই দিন আগে এই ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে বলে জানান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। বুধবার এ জি এম সি-র কনফারেন্স হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই কথা জানান তিনি। এরপর এই রোগীর বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হয়। জিবির রোগী কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক জানান গত ৮ সেপ্টেম্বর এই রোগী জিবির কোভীড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে ভর্তি হন। এই রোগী অ্যালকোহলিক।

নেশা সেবন করতেন নিয়মিত। কিন্তু জিবিতে আসার পর নেশা সামগ্রী না পাওয়ার পর এই ছটপট করতে থাকে। কিন্তু একে নিয়ে বাইরে শুরু হয় অপপ্রচার। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক জানান গত ৮ সেপ্টেম্বর ভর্তি হওয়ার পর আজ ১৬ সেপ্টেম্বর। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সেই ব্যক্তি সুস্থ আছেন। কিন্তু নিয়মিত নেশা সেবন কারী, নেশা না পেলে কি অবস্থা হয় তাই এই ঘটনা বলে দিচ্ছে। বর্তমানে সেই ব্যক্তি সুস্থ রয়েছেন। অযথা মানুষকে বিভ্রান্ত না করার জন্য আহ্বান জানান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।

সোস্যাল মিডিয়া এখন অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম। তাই এই মাধ্যমে যা দেওয়া হবে তা আগুনের মত ছড়ায়। তাই একজন দায়িত্বশীল এবং সু নাগরিক হিসাবে জেনে শুনে কিছু দেওয়ার জন্য বার্তা দেন তিনি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সকলে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে। কোন ভাবেই মানুষকে বিভ্রান্ত করার মত বিষয় যাতে সোস্যাল মিডিয়াতে না দেওয়া হয় তার আহ্বান জানান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। অক্সিজনের জন্য ছটপট করছে এই বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান তিনি।

স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকেরা সমস্ত ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। জিবির কোভীড ট্রিটমেন্ট সেন্টারে একটি নাম্বার মঙ্গলবার থেকে শুরু করা হয়েছে। এই নাম্বারে ফোন করে রোগির আত্মীয় পরিজন রোগির সম্পর্কে জানতে পারবেন। করোনা কোন দল ও ধর্ম দেখে হয়না। দায়িত্ব নিতে হবে। মানুষের প্রতি দায়িত্ব রাজনৈতিক দল গুলির রয়েছে। এই মিথ্যা ভিডিও দিয়ে বিরোধীরা ছাড় পাবে না। মানুষ তাদের কাছে জিজ্ঞাস করবে বলে জানান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।

জিবিকে ডাম্পিং ষ্টেশনে পরিণত করা হয়েছে বিগত সরকারের সময়। ১৫ শতাংশ মানুষ কাজ করে না। আর ১৫ শতাংশ কাজ জানেনা। তাদের পুনঃ বাসনের জন্য এখানে আনা হয়েছিল। মাত্র ৭০ শতাংশকে দিয়ে এই পরিস্থিতিতে কাজ করানো হচ্ছে বলে জানান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক। ২৫ বছরের ডাম্পিং ষ্টেশনের পাপকে পরিষ্কার করতে হচ্ছে এখন। এটা কঠিন কাজ । কিন্তু করা হবে বলে জানান জিবির রোগী কল্যাণ পরিষদের চেয়ারম্যান সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?