স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৬ সেপ্টেম্বর।। রাত পোহালেই ঢাকে পড়বে কাঠি। শুরু হবে পুজোর মরশুম। দেব শিল্পী আরাধনা। কিন্তু করোনা আবহে যেন বাজারের ব্যবসায়ীরা মন্দা অবস্থা সম্মুখীন। অগ্নিমূল্য ফুল ফল থেকে শুরু করে দেবশিল্পী মূর্তির। তবে বহু পূজা উদ্যোক্তারা এদিন বাজারে এসে ফল ফুল এবং মূর্তির মূল্য যাচাই করে একপ্রকার মাথায় হাত দিতে বসেছে।এ বিষয়ে ক্রেতারা জানায়, ফল এবং দেব শিল্পীর মূর্তির মূল্য এতটাই বেশি যে বাজার করে তারা সন্তুষ্ট প্রকাশ করতে পারছেন না। যে কোন মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সবকিছু।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্য মর্জি মাফিক বৃদ্ধি করে চলছে।এদিকে ব্যবসায়ীরা জানায়, করোনা প্রকটে বাজারের ব্যবসায়ীদের অবসর বসে থাকতে হচ্ছে। পুজো মরশুম হলেও ভিড় নেই ক্রেতাদের। এবং কি এবছর বহি রাজ্য থেকে ফল থেকে শুরু করে বিভিন্ন দ্রব্য আমদানি করতে অধিক মূল্য দিতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। ফলে বাজারে দ্রব্য সামগ্রী মূল্য কিছুটা বেশি বলা যায়।এক ফল ব্যবসায়ী জানান, আপেল এর মূল্য ১৫০ টাকা কিলো, আমের মূল্য ২৫০ টাকা কিলো, আঙ্গুর ৩০০ টাকা কিলো।
তবে বিগত বছরের তুলনায় ফুলের মূল্য অনেকটা বেশি বলে অভিমত ব্যক্ত করে ব্যবসায়ী। তবে মৃৎ শিল্পীরাও এ বছর অনেকটা লাভান্বিত হচ্ছে বলে জানা যায়। কারণ অন্যান্য বছরের ন্যায় এ বছর বহিঃ রাজ্য থেকে মৃৎশিল্পীরা রাজ্যে আসতে পারেনি। ফলে অধিকাংশ মূর্তির বায়না পেয়েছেন রাজ্যের মৃৎশিল্পীরাই।
ফলে মৃৎ শিল্পীদের মুখে হাসি ফুটেছে। রাজধানীর মূর্তি পাড়া এলাকায় দেখা গেছে উদ্যোক্তাদের অস্বাভাবিক ভিড়।যাইহোক বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যে মহারাজগঞ্জ বাজার এবং বটতলা বাজার, লেইক চৌমুহনি বাজার, মঠ চৌমুহনি বাজার সহ সমস্ত বাজারগুলিতেই ছিল দর-কষাকষি পালা। সামাজিক দূরত্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ছিল উপচে পড়া ভিড়।