স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর৷৷ রাজ্য সরকার লক্ষ্য করছে যে, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ জনসাধারণের স্বাস্থ্য ও সুুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ মহামারির সংক্রমণ রোধে ব্যবস্থা না নিলে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে৷ যেহেতু আগামী ১৭.০৯.২০২০ তারিখে বিশ্বকর্মা পূজার সময়ও কোভিড-১৯-এর প্রকোপ বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তাই মুখ্য সচিব স্টেট এগজেকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে কিছু নির্দেশিকা জারি করেছেন৷
এই নির্দেশিকা সমস্ত ক্লাব/পূজা কমিটি/ব্যক্তিগত পূজা আয়োজকদের উদ্দেশ্যে জারি করা হয়েছে৷ এই নির্দেশিকাগুলি নিম্নরূপ :-সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাধারণভাবে পূজা সম্পন্ন করতে হবে৷ পূজা মণ্ডপ/প্যাণ্ডেলে মূর্তি নিয়ে আসার সময় কোন শোভাযাত্রার আয়োজন করা যাবে না৷ সামাজিক পূজা যথাসম্ভব খোলামেলা স্থানে করতে হবে৷ পূজা মণ্ডপ/প্যাণ্ডেল খোলা থাকতে হবে যাতে দূর থেকেই মূর্তি দেখা যায়৷ পূজা মণ্ডপে প্রবেশ ও নির্গমনের আলাদা ব্যবস্থা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে না৷ প্যাণ্ডেলের সামনে একসাথে ৫-১০ জন দর্শনার্থীর বেশি জমায়েতের অনুমতি দেওয়া যাবে না৷
দর্শনার্থীদের কমপক্ষে ১ মিটার শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পূজা আয়োজকদের দর্শনার্থীদের দাঁড়ানোর জন্য সঠিকভাবে স্থান চিহ্ণিত করে দিতে হবে৷ নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে পরামর্শক্রমে দর্শনার্থীদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য স্বেচ্ছাসেবী রাখতে হবে৷পূজার সময় আয়োজকরা কোনরকম বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবেন না৷ পূজা উদ্যোক্তারা বেশি জাকজমক আলোকসজ্জা করবেন না যা নাকি বেশি লোকের জমায়েতকে আকর্ষিত করে৷
পূজার দিন সমস্ত আয়োজক কমিটি/স্বেচ্ছাসেবক ও দর্শনার্থীরা মাস্ক ব্যবহার করবেন৷ প্রবেশ পথে এবং কমন এরিয়াতে দর্শনার্থীদের জন্য হ্যাণ্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ পূজার দিনে সমস্ত পূজা প্যাণ্ডেল দিনে কমপক্ষে তিনবার স্যানিটাইজ করতে হবে৷ দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত দড়ি, বাঁশ ইত্যাদি ঘনঘন স্যানিটাইজ করতে হবে৷ সেজন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে৷ সমস্ত পূজা মণ্ডপ/প্যাণ্ডেলে থার্মাল স্ক্রীনিং-এর ব্যবস্থা রাখতে হবে৷
যদি কোন দর্শনার্থীর শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয় তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে হবে৷ প্রসাদ বিতরণ বাঞ্ছনীয় নয়৷ সামাজিক ভোজ অনুষ্ঠানও করা যাবে না৷বাড়ির পূজার ক্ষেত্রে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ১৫-২০ জনের মধ্যে সীমিত রাখা উচিত এবং সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ পূজার দিনেও রাতের কার্ফু বলবৎ থাকবে এবং তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে৷
পুর কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য দপ্তরের সাথে সমন্বয় রেখে জেলা/পুলিশ প্রশাসন পূজা মণ্ডপ/প্যাণ্ডেলের প্রাঙ্গণে জন সমাগমের উপর নিয়মিত নজরদারি রাখবে৷ আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখা, যানবাহন চলাচল, জন সমাগম নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সুুনিশ্চিত করতে গিয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী জেলা প্রশাসন অন্যান্য বিধিনিষেধও আরোপ করতে পারে৷
এ বছর বিশ্বকর্মা পূজার দিন অর্থাৎ ১৭.০৯.২০২০ তারিখে মহালয়াও উদযাপন করা হবে৷ সেই উপলক্ষে সকালবেলা রাস্তায়/পার্কে কোন প্রকার শোভাযাত্রা বা জমায়েত করা যাবে না৷ জেলা/পুলিশ প্রশাসন নিয়ম অনুযায়ী সে ব্যাপারে কড়া নজর রাখবে এবং প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে৷ ত্রিপুরা সরকার এক আদেশে এই নির্দেশিকা জারি করেছে৷