স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৪ সেপ্টেম্বর।।লকডাউন পর্বে যেইদিন থেকে গোটা দেশে নিয়মিত যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচল বন্ধ ছিল, তখন থেকেই সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মের গতি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে৷
লকডাউন পর্ব কিছুটা অতিরিক্ত সময় দিয়েছে ট্যাক ও অন্যান্য রক্ষণাবেক্ষণ কর্মের জন্য, যদিও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ে পণ্যবাহী ট্রেনের পাশাপাশি পার্সেলট্রেন চলাচল করেছে নিয়মিত এবং গোটা দেশে লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ ও সামগ্রী চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ ছিল৷
এসব কাজই করা হয়েছিল বিস্তারিত পরিকল্পনা এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সবরকম স্বাস্থ্যবিধি সোমাজিক দূরত্ব প্রভৃতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে ধারাবাহিক নজরদারির জন্য, যদিও লকডাউন পর্বে পার্সেল ট্রেন ও পণ্যবাহী ট্রেনের বৃদ্ধি ঘটেছে৷ দেখা গেছে যে সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণে জোর দেওয়ার ফলে সম্পদ বিশ্বস্ততা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সম্পদ ব্যর্থতা হাস হয়েছে আর বেড়েছে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের গড় গতিবেগ ডিটেনশন ও গতিবেগ বিধিনিষেধ কম হওয়ার ফলে৷ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে পণ্যবাহী ট্রেনের গড় গতিবেগ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি হচ্ছে৷
পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের মাসিক গতিবেগের গড় ১৩.০৯.২০২০ পর্যন্ত বৃদ্ধি হয়েছে ২৭.২১ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা থেকে ৪৭.৮৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গত বছরের এই সময়কালের তুলনায়, ইহা ৭৫ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি৷ ১৩.০৯.২০২০-তে পণ্যবাহী ট্রেনের গড় গতিবেগ ছিল ৪৫.৩৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা আর ১৩.০৯.২০১৯-এ ছিল ২৭.৪৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা৷ যার অর্থ ৬৫ শতাংশ বৃদ্ধি৷ পণ্যবাহী ট্রেনের গড় গতিবেগ বৃদ্ধির ফলে ওয়াগনের ফিরে যাওয়ার সময় হাস হয়, এর ফলে রেলওয়ে ওয়াগনের সবর্োচ্চ ব্যবহার করতে পারে যা ভারতের বর্তমান কৌভিড-১৯ পরিস্থিতিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি অংশে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন৷
এক জায়গায় পণ্যবাহী ট্রেনের আটকে থাকা সময় হ্রাস পেয়েছে এবং রেল চলাচল সম্পকীয়ি সম্পদ ব্যর্থতার ফলে গতিবেগের যে বিধিনিষেধ আসে, তা হাস পাওয়ার ফলেই গড় গতিবেগ বৃদ্ধি হয়েছে, এইসঙ্গে জ্বালানি ব্যবহার কমেছে বলে শক্তি সংরক্ষণেও এটি অবদান জোগায়৷ এখানে উল্লেখযোগ্য যে এই অতিমারি পর্বে ১৩ ই সেপ্ঢেম্বর ২০২০ পর্যন্ত নিজের সীমার মধ্যে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ৪০০০-এরও বেশি পণ্যবাহী এবং ১০০০-এরও বেশি পার্সেল ট্রেন পরিচালনা করেছে, যা নিশ্চিত করে যে এর আওতায় অত্যাবশ্যকীয় ও অন্যান্য পণ্যের কোনো অভাব হয়নি৷
পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের গতি বৃদ্ধির এই বিষয়টি নিকট ভবিষ্যতে নিয়মিত সব যাত্রীবাহী ট্রেন চললেও যাতে বজায় রাখা যায় সেজন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আবশ্যক গপা গ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে৷ শীঘ্রই নতুন শূন্য ভিত্তিক সময়সারণি প্রবর্তন করা হবে গোটা ভারতীয় রেলওয়েতে, সেখানেও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকবে৷