স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর।। চালু হচ্ছে বাংলাদেশ ও আগরতলার মধ্যে রেল যোগাযোগ। আগামী বছরই চালু হবে আখাউড়া আগরতলা রেলপথটি। যেই রেলপথটি বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ব্যবসা বাণিজ্য এবং ভারতের এই অঞ্চলের সাথে ভারতের মূল ভখন্ডে সহজে যাওয়া যাবে এই রেল পথের মাধ্যমে। ২০২১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ভারত এবং বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা একই ধরনের ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর রেলব্যবস্থা ধ্বংসের পথে চলে যায়। নতুন করে রেললাইন হয়নি, ইঞ্জিন, কোচ, নতুন ট্রেন কোন কিছু হয়নি। ৭৩/৭৪ সালে রেলওয়েতে লোকবল ছিল ৬৮ হাজার। এখন তা ২৫ হাজারে নেমে এসেছে। এখন লোকবলের অভাবে ১০৪টি ষ্টেশন বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন রেলকে আস্তে আস্তে বেসরকারিকরণ করার প্রক্রিয়া নিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেখান থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করে রেল ব্যবস্থাকে আধুনিক যুগোপযুগি যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার। এরমধ্যে ৬ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। আর বাকি ৪ কিলোমিটার রেলপথ ভারতের অংশে।
রেলপথটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপূর সীমান্ত পর্যন্ত যাবে। ভারত সরকারের অনুদানের অর্থে নির্মিত হচ্ছে এই রেলপথ। ২০১৮ সালের ২১ মে ভারতের নতুন দিল্লির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয় ২৪০ কোটি ৯০ লাখ ৬৩ হাজার ৫০১ টাকা।
জমি অধিগ্রহণসহ সকল জটিলতা কাটিয়ে ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই ১৮ মাস মেয়াদী এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথম দফায় চলতি বছরের ১৩ মে পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়।
বর্ষা মৌসুমের কারণে কাজ করতে না পারায় সময় বৃদ্ধির আবেদন করা হয়। তবে প্রথম দফায় বৃদ্ধিকৃত সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস হানা দেয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত মার্চ মাসের শেষভাগ থেকে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধের পর গত ১ জুন থেকে পুনরায় কাজ শুরু হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখনও সব শ্রমিক কাজে আসেনি। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।