স্মার্ট সিটির কাজেও ইঞ্জিনিয়ারদের বড় ভূমিকা রয়েছে : মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৫ সেপ্টেম্বর।। রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলি জনসাধারণের মধ্যে বাস্তবায়ন করে চলেছে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়াররা। আগরতলা স্মার্ট সিটির কাজেও ইঞ্জিনিয়াররা বড় ভূমিকা রয়েছে। রাজধানীর বনমালীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দীর্ঘ কয়েক বছরের দাবি ছিল বন্যা থেকে মুক্তি।নির্বাচনের পূর্বে বনমালীপুর বাসী সেই বন্যার সমস্যা নিরসনের জন্য দাবি জানিয়েছিল সরকারের কাছে।

আর সেই দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জল নিকাশি ব্যবস্থা করা হয়েছে, স্মার্ট সিটিতে আন্ডারগ্রাউন্ড করা হয়েছে। এবং ইন্দ্রনগরে ইন্টিগ্রেটেড কমান্ড সেন্টার করা হয়েছে। যাতে সেন্টার থেকে বসে লক্ষ করা যায় জল কোথায় জমছে এবং সেই জায়গার জল কিভাবে নিষ্কাশন করা যায় সবকিছু সেই জায়গায় বসে দেখার জন্য।

আর এখনো সম্পন্ন বন্যার জল নিরসন করা না গেলেও বিগত দিনের তুলনায় ৯০ শতাংশ সমস্যা নিরসন সম্ভব হয়েছে। আর এতে ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা রয়েছে। আগামী দিনে সম্পন্ন বন্যা মুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার শিবনগর স্থিত অনিক ক্লাবে স্টেট ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশন ত্রিপুরার পশ্চিম জেলা কমিটির উদ্যোগে ৫৩ তম ইঞ্জিনিয়ার্স দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, রাজ্যে অন্যান্য দপ্তরের মতো ডি ডব্লিউ এস -এর ইঞ্জিনিয়াররাও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে।

সরকার অটল জলধারার মিশনের মাধ্যমে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যের গ্রাম, পাহাড়, সমতল সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছানো লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। পূর্বে রাজ্যের রুরাল এলাকায় ১৩ হাজার ২২১ টি পানীয় জলের সংযোগ ছিল। কিন্তু ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন পর্যন্ত দেড় বছরে প্রায় ১ লক্ষ পানীয় জলের সংযোগ মানুষের মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

আরবান এবং রুরাল এলাকায় সর্বমোট ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ১২৩ টি পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর এটা বাস্তবায়িত হয়েছে একমাত্র ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকার জন্য বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেব।এমনকি বিদ্যুৎ দপ্তরকে ঢেলে সাজাতে ৪ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী।

আর এ ধরনের উন্নয়ন মূলক কাজ সরকার ইঞ্জিনিয়ারদের মাধ্যমে করে চলেছে। রাজ্যে চতুরমুখী উন্নয়নে ইঞ্জিনিয়ারদের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে জানান তিনি।আরো বলেন, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্মদিন উপলক্ষে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেবা সপ্তাহ পালন করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সেবা সাপ্তাহে স্বচ্ছ ভারত অভিযান, রক্তদান শিবিরের মতো কর্মসূচি বহন করা হচ্ছে।

মানুষের সহযোগিতা কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ ধরনের সহযোগিতা করে কেউ যাতে হিসেব না করে। পরের দানের মানসিকতা নষ্ট হয় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা খাদি বোর্ডের চেয়ারম্যান রাজীব ভট্টাচার্য, এসোসিয়েশনের সভাপতি বিবেকানন্দ রায়, দীপক কর্মকার সহ অন্যান্যরা।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?