অনলাইন ডেস্ক, ১২ সেপ্টেম্বর।।লাদাখে সীমান্ত প্রহরার কাজে এবার পাঠানো হচ্ছে হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড বা হ্যালের তৈরি লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার। হিমালয়ের মতো উঁচু এবং দুর্গম পার্বত্য এলাকায় এই কপ্টার কিভাবে কাজ করবে ইতিমধ্যেই বায়ুসেনাকে হাতে-কলমে করে দেখিয়েছে হ্যাল। বিদেশী অ্যাপাচে বা চিনুক কপ্টারের থেকেও এই লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার অনেক বেশি দক্ষ।
পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় অনেক ভালভাবে তারা নজরদারি চালাতে পারে। দিন-রাত যে কোনও সময়, যে কোনও আবহাওয়াতেই এই হেলিকপ্টার সমান রকম কার্যকর। লের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে পাহাড়ি এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার মিটার উচ্চতায় ইতিমধ্যেই চক্কর কেটে দেখিয়েছে হ্যালের এই বিশেষ লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার। বায়ুসেনা জানিয়েছে, প্রচন্ড ঠান্ডা বা গরম, রাত এবং দিনে এই কপ্টার একই রকম দক্ষতায় কাজ করতে সক্ষম। হ্যালের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দৌলত বেগ ওল্ডির ৫০০০ মিটার উচ্চতায় ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে সহজেই এই কপ্টার অবতরণ করতে পারবে।
সিয়াচেনের মত দুর্গম এলাকার হেলিপ্যাডে সহজেই ওঠানামা করতে পারবে এই কপ্টার। যে কোনও দুর্গম পাহাড়ের খাঁজের কাছাকাছি নেমে এসে ও নজরদারি চালাতে পারবে এই লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার। ওজনে হালকা হওয়ায় এর গতি অত্যন্ত বেশি। শুধু তাই নয়, ওজনে হালকা হওয়ার কারণে খুব দ্রুত এই কপ্টার শত্রুশিবিরের খবর নিয়ে আসতে পারবে। এই বিশেষ হেলিকপ্টারটির নকশা তৈরি করেছেন হালের রোটারি রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং সেন্টার।
এই হেলিকপ্টার চেতক ও চিতার অত্যাধুনিক ভার্সন। এখনো পর্যন্ত এ ধরনের ১৩৭ টি লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার তৈরি করেছে হ্যাল। যার মধ্যে ৬০টি কিনে নিচ্ছে বায়ুসেনা। লাদাখ সীমান্তে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আকাশসীমাকে আরও সুরক্ষিত করতে এবং চিনের উপর চাপ বাড়াতে এই কপ্টার লাদাখ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।