অনলাইন ডেস্ক, ১২ সেপ্টেম্বর।।করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে দেশে। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭ হাজার ৩৫১ জন। যা একটি বিশ্বরেকর্ড। আক্রান্তের নিরিখে একটানা ৩৭ দিন শীর্ষে রয়েছে ভারত। সর্বশেষ পাওয়া খবরে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৪ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৭৫০৬ জনের। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৬ লক্ষ ২৪ হাজার ১৯৬ জন। শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২০৯ জনের। গত দু’দিনের তুলনায় বেশ কিছুটা বেশি। ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮১ হাজার ৫৩৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, দেশে করোনায় মৃত্যু হার আরও কমে হয়েছে ১.৬৬ শতাংশ।
সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৭.৭৭ শতাংশ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রক এটাও স্বীকার করে নিয়েছে যে, এই মুহূর্তে এশিয়ায় প্রতি ১০ লাখ মানুষের মধ্যে ভারতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের করোনায় মৃত্যু হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যগুলির মধ্যে এখনও করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে অন্ধপ্রদেশ এবং কর্ণাটক। এই দুই রাজ্যে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে দিল্লি। জুলাই এবং অগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত দিল্লিতে করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এই রাজ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।এরই মধ্যে এসে পড়ছে উৎসবের মরসুম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উৎসবের মরসুমে মানুষকে অবাধে বাইরে ঘোরাফেরা করার সুযোগ দেওয়া হলে আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছুটা বাড়বে এবং তা অত্যন্ত দ্রুত হারেই হবে। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও একবার মানুষকে করোনাজনিত বিধিনিষেধ মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছে। প্রায় প্রতিটি রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের মাত্রাছাড়া টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোথাও কোথাও মাত্র পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা যেতে ১০ হাজার টাকা ভাড়া নিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স এমন খবরও শোনা গিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলি যাতে দূরত্ব অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া নির্দিষ্ট করে দেয় সে ব্যাপারে নির্দেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের ফলে আশার আলো দেখছেন মানুষ। তবে আমজনতার দাবি, শুধু সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়ে ক্ষান্ত থাকলেই চলবে না সেই নির্দেশ রাজ্যগুলি যথাযথভাবে মানছে কিনা সেটাও যেন খতিয়ে দেখে। কারণ অ্যাম্বুলেন্সের বিপুল পরিমাণ ভাড়া দিতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে অনেককেই। এমনকি, বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে টাকার অভাবে করোনা রোগীকে হাঁটিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে।