স্টাফ রিপোর্টার, কদমতলা, ১১ সেপ্টেম্বর।। প্রধান ও উপ-প্রধানের চেয়ারে লালসায় কংগ্রেস দলের সাথে আঁতাত করে পঞ্চায়েত ভাঙ্গার স্বপ্ন দেখছে শাসক দলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও মেম্বার।তাদের মদত করছে পঞ্চায়েত সচিবও, অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েতের শাসক দলের প্রধান মেম্বার সহ এলাকার শাসক দলের নেতৃত্বদের।। ঘটনা উত্তরের ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকাধীন ফুলবাড়ির গ্রাম পঞ্চায়েতটি ইতিমধ্যে খবরের শিরোনাম দখল করে নিয়েছে। বিগত ত্রিস্তরীয় নির্বাচনের পর সিপিআইএম দলের কাছ থেকে ছিনিয়ে শাসক দল বিজেপির ৪ জন পঞ্চায়েত প্রতিনিধি ও নির্দলীয় দুইজন পঞ্চায়েত প্রতিদিন নিয়ে যৌথভাবে পঞ্চায়েত গঠন করে শাসক দল বিজেপি। যদিও পরবর্তী সময়ে দুইজন নির্দলীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি বিজেপিতে যোগদান করেন।
বর্তমানে বিজেপি দলের ছয় জন ও কংগ্রেস দলের ৫ জন পঞ্চায়েত সদস্য নিয়ে মোট ১১ জনে ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতটি পরিচালিত। সেখানে নির্দল থেকে বিজেপি দলে আসা হাজিরা বেগমকে প্রধানের দ্বায়িত্বে বসানো হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত গঠনের পর থেকেই বিজেপি দলের দুই জন পঞ্চায়েত প্রতিনিধি অর্থাৎ উপপ্রধান মিন্টু নাথ ও মেম্বার আস্কর আলী কংগ্রেস দলের পাঁচ জন পঞ্চায়েত সদস্যের সাথে গোপন আঁতাত করে পঞ্চায়েত ভাঙতে শুরু করেছেন বলে বিজেপি দলের প্রধান মেম্বার সহ এলাকার শাসক দলীয় নেতাদের অভিযোগ। উনাদের অভিযোগ, প্রধান ও উপ প্রধানের চেয়ারের লোভে মিন্টু নাথ ও মেম্বার আস্কর আলী কংগ্রেসের সাথে গোপন আঁতাত করে বর্তমান শাসকদলীয় পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপর অনাস্থা এনে পঞ্চায়েত ভেঙ্গে দিতে চাইছে। আর তাদের সঙ্গ দিচ্ছেন খোদ পঞ্চায়েত সচিব পল্লবী চক্রবর্তী বলেও উনাদের অভিযোগ।
উনারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২ নং ওয়ার্ডের আই এ ওয়াই ঘর প্রাপক বেনিফিসারী সালমা বেগমকে ২০ হাজার টাকা এবং আনজির আলীকে ১০ হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে প্রধান হাজিরা বেগম ও তার স্বামী মানিক উদ্দিনের নামে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দিয়েছে কংগ্রেস দলের সঙ্গে আঁতাত কারী বিজেপি দলের দুই পঞ্চায়েত সদস্য ও কংগ্রেস দল।বেনিফিসারীদের টাকার প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রধানের স্বামী মানিক উদ্দিনের নামে আই এ ওয়াই ঘর পাওয়ার সুবিধার ক্ষেত্রে বেনিফিসারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উত্থাপিত করা হয়েছে। যা বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। আর ভাইরাল হয়ে পড়াতে স্থানীয় শাসকদলীয় নেতৃত্বরা সরজমিনে আইএওয়াই ঘর প্রাপক বেনিফিসারীদের সাথে কথা বলেন।কথা বলে জানতে পারেন যে, উপপ্রধান মিন্টু নাথ ও মেম্বার আস্কর আলী কংগ্রেস দলের সঙ্গে যোগ সূত্র করে বেনিফিসারীদের টাকার প্রলোভন ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রধানের স্বামী মানিক উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ ধরনের নোংরা মিথ্যা বদনাম করছেন।
শাসকদলীয় উপপ্রধান মিন্টু নাথ ও মেম্বার আস্কর আলী প্রধান ও উপপ্রধানের চেয়ারের লোভে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতি ভেঙে কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত গঠন করতে চাইছে বলেও শাসকদলীয় নেতৃত্বদের অভিযোগ। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো অভিযোগকারী আইএওয়াই বেনিফিসারি সালমা বেগম ও আনজির আলী অকপটে স্বীকার করেছেন যে, কংগ্রেস দলের নেতৃত্বরা এবং বিজেপি দলের উপ প্রধান ও এক মেম্বার তাদেরকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে প্রধান ও তার স্বামীর নামে মিথ্যে অভিযোগ করতে বলেছিলেন।তাই উনারা তাদের কথায় প্রধান ও তার স্বামীর নামে মিথ্যে অভিযোগ করেছিলেন।অপরদিকে সমস্ত ঘটনা নিয়ে উপপ্রধান মিন্টু নাথকে জিজ্ঞেস করলে তিনি সংবাদমাধ্যমে সামনে বলেন, পুরো ঘটনাটি দলীয় কার্যকর্তাদের কাছে জানিয়েছেন।দল যে সিদ্ধান্ত নেবে তা উনি মাথা পেতে নেবেন। এখন সংবাদের শিরোনাম দখলকারী ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কাদা ছোড়াছুড়ি রাজনীতি দমন করে কি ভূমিকা গ্রহণ করে শাসক দল?নাকি সেই সুযোগে পঞ্চায়েত দখল করে নেয় কংগ্রেস দল সেটাই এখন দেখার বিষয়।