অনলাইন ডেস্ক, ১০ সেপ্টেম্বর ।।প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা হবে। তবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই যুক্ত করা হয়েছে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’ সংক্রান্ত একটি শর্ত। ওই শর্তে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তায় প্রভাব পড়তে পারে এমন কোনও ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করবে না কেন্দ্র।কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রক জাতীয় নিরাপত্তার এই শর্তটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করে। ওই বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় নিরাপত্তার শর্তটি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এই শর্ত মেনে প্রতিরক্ষার কোনও ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ কিনা সেটা আগে খতিয়ে দেখা হবে।
যদি দেখা যায়, জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নেই একমাত্র সেক্ষেত্রেই ৭৪ শতাংশ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হবে। জাতীয় নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এরকম কোনও ক্ষেত্রেই বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি মিলবে না বলে সরকার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে।উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে আগেই চারটি শর্তের কথা বলা হয়েছিল। তার সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র শর্তটি যুক্ত করা হল। করোনাজনিত পরিস্থিতিতে দেশের শিল্প বিশেষ করে উৎপাদন শিল্পকে চাঙ্গা করতে এবার প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকেও সামনে আনতে চাইছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
সরকারের লক্ষ্য হল, ২০২৫-এ প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যবসার পরিমাণ ১.৭৫ লক্ষ্য কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া। শুধু দেশে উৎপাদন নয়, দেশের চাহিদা মিটিয়ে ৩৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৭৪ শতাংশে নিয়ে গিয়ে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী বিদেশি সংস্থাগুলিকে ভারতে আনার চেষ্টা করছে মোদি সরকার। একই সঙ্গে বেসরকারি ক্ষেত্রকেও প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারত প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় করে থাকে। ওই সমস্ত সামগ্রী যাতে দেশেই তৈরি করা যায় সে বিষয়ে সচেষ্ট হয়েছে মোদি সরকার। সে ক্ষেত্রে দেশের সংস্থাগুলি বিপুল পরিমাণ ব্যবসা করতে পারবে। তাতে যেমন দেশীয় সংস্থাগুলি উপকৃত হবে তেমনই তা দেশের শিল্প বৃদ্ধির সহায়ক হবে।