মানুষের কাছে সুুবিধা পৌঁচাচ্ছে কিনা সেদিকে নজরদারি রাখতে বললেন খাদ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, ধর্মনগর, ১০ সেপ্টেম্বর।। খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে উত্তর ত্রিপুরা জেলাভিত্তিক এক পর্যালোচনা সভা আজ জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়৷ খাদ্য ও ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজ কান্তি দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস, উত্তর ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক নাগেশ কুমার বি, খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দ চৌধুরী, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ জেলার পদস্থ আধিকারিকগণ৷

পর্যালোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী উত্তর ত্রিপুরা জেলায় খাদ্য দপ্তর এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচির বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন৷পর্যালোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের সাথে রাজ্যেও কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতিতে সরকার জনকল্যাণে বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়েছে৷ এই সমস্ত কর্মসূচির সুুযোগ সুুবিধা রাজ্যের সর্বত্র মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেন, রাজ্যে জাতীয় খাদ্য সুুরক্ষার আওতাধীনে ৫ লক্ষ ৭৯ হাজার পরিবার রয়েছেন৷ কোভিড জনিত পরিস্থিতিতে গত এপ্রিল মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত মাথাপিছু ৫ কেজি চাল ও ১ কেজি করে ডাল বিনামূল্যে এই সমস্ত পরিবারগুলিকে দেওয়া হয়েছে৷

এই কর্মসূচিতে রাজ্যে আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত জাতীয় খাদ্য সুুরক্ষার আওতায় থাকা পরিবারগুলিকে এই সহায়তা দেওয়া হবে৷ মানুষের কাছে এই সুুবিধা যথাযথভাবে পৌঁচাচ্ছে কিনা সেদিকে নজরদারি রাখার জন্য জেলা প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন৷ তাছাড়াও বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতেও খাদ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসন ও খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন৷ পর্যালোচনা সভায় জানানো হয় উত্তর জেলায় চলতি অর্থবছরে ক’ষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধানক্রয় করা হচ্ছে৷ প্রতি কেজি ধান ১৮.১৫ টাকা দরে ক্রয় করছে খাদ্য দপ্তর৷ জেলায় চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ২৬১.৫১৯ মেট্রিকটন ধান ক’ষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হয়েছে৷

পর্যালোচনা সভায় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব বলেন, সরকার খেলধূলার মানোন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে৷ সেই লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে ১০৮টি কোচিং সেন্টার খোলা হয়েছে৷ আরও কোচিং সেন্টার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ গ্রামীণ এলাকা থেকে ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষনে যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার তার সুুফল ইতিমধ্যেই এসেছে৷ অনুর্ধ-১৭ বালক-বালিকা বিভাগের ফুটবল প্রতিযোগিতায় রাজ্যদল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে৷ সভায় ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, রাজ্যের খেলাধূলার মানোন্নয়নে ভারত সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে৷ সভায় জেলাশাসক নাগেশ কুমার বি, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দ চৌধুরী এবং খাদ্য দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস আলোচনায় অংশ নেন৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?