অনলাইন ডেস্ক, ১০ সেপ্টেম্বর ।। করোনাজনিত পরিস্থিতিতে ঋণগ্রহীতাদের মাসিক কিস্তি বা ইএমআইয়ের ভার লাঘব করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রকে দুই সপ্তাহ সময় দিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এদিন কেন্দ্রকে জানায়, ঋণ পরিশোধ করার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে কেন্দ্রকে শেষ সুযোগ দেওয়া হল।ঋণের উপর সুদ মকুব এবং ঋণ শোধের সময়সীমা বৃদ্ধির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। ওই মামলার শুনানি হয় বৃহস্পতিবার। এদিন কেন্দ্র শীর্ষ আদালতকে জানায়, ঋণগ্রহীতাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকার আলোচনা করছে।
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ঋণগ্রহীতাদের প্রতি সরকারের পূর্ণ সহানুভূতি আছে। কেন্দ্রের ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত জানায়, ঋণগ্রহীতাদের ভালর জন্য সরকারের অবশ্যই ভাবনাচিন্তা করা উচিত। করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। তাদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়া উচিত। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।তিন বিচারপতির বেঞ্চ এদিন কেন্দ্রকে আরও বলে, যারা লোন মরেটোরিয়াম চেয়ে আবেদন করেছেন তাদের নেওয়া ঋণকে যেন কখনওই অনাদায়ী ঋণ বলে মনে করা না হয়। ঋণগ্রহীতাদের স্বার্থ সব সময় দেখতে হবে।
ব্যাঙ্ক যেন অকারণে ঋণগ্রহীতাদের উপর চাপ সৃষ্টি না করে। অন্যদিকে কেন্দ্র দাবি করে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সুদ মকুব করা হলে ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক পরিস্থিতি আরও দুর্বল হবে। সুদ মকুব করা বা ইএমআই জমা দিতে আরও সময় দেওয়া অর্থশাস্ত্রের মূলনীতির বিরোধী। এক্ষেত্রে যারা নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ পরিশোধ করেছেন তাদের প্রতিও সুবিচার করা হবে না। যদিও সর্বোচ্চ আদালত এদিন কেন্দ্রের এই বক্তব্যকে আদৌ আমল দেয়নি। উল্লেখ্য, এর আগে মার্চ মাসে আরবিআই তিন মাসের জন্য ঋণ মরেটোরিয়াম ঘোষণা করেছিল। মে মাসে মরেটোরিয়ামের মেয়াদ ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ান হয়।