অনলাইন ডেস্ক, ১০ সেপ্টেম্বর ।। ভারতীয় বায়ুসেনায় তুনীরে এল ‘সোনালি তির’। শুরু হল রাফাল যুগ। আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হল রাফাল যুদ্ধবিমান। ৫টি রাফাল যুদ্ধবিমান ফ্রান্স থেকে জুলাই মাসেই চলে এলেও, সেগুলি এতদিন বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে অম্বালা বিমানঘাঁটিতে বায়ুসেনার হাতে তুলে দেওয়া হয় পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান। রাফালের জন্য নতুন করে বায়ুসেনার ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনকে “গোল্ডেন স্কোয়াড্রন” হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারত ও ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
ভারতের রাজনাথ সিংহ এবং ফ্রান্সের ফ্লোরঁস পার্লি অম্বালা এয়ারবেসে পৌঁছনোর পর রাফাল যুদ্ধবিমানের আনুষ্ঠানিক আবরণ উন্মোচন হয়। বাহিনীর মঙ্গলকামনায় সর্বধর্ম প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হয়। রাফালের জন্য তৈরি হয়েছে দুটি বেস। একটি অম্বালায়, অন্যটি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায়। কেন্দ্র ৩৬টি রাফালের বরাত দিয়েছে ফ্রান্সকে। এর মধ্যে ৬টি বিমান ব্যবহার করা হবে প্রশিক্ষণের জন্য, যেগুলিতে দুটি করে আসন থাকবে। যদিও প্রয়োজনে যুদ্ধেও তা ব্যবহার করা যাবে। রাফাল এসে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে ভারতের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায়। তার কারণ রাফালের তিনটি প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র, একেবারে তিন টেক্কা যাকে বলা চলে।
এগুলি হল মিটিওর, স্ক্যাল্প ও মাইকা। এদের মধ্যে স্ক্যাল্প আঘাত হানতে পারে তিনশো কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রুঘাঁটিতে। রাফালের প্রযুক্তির চমক অবশ্য এখানেই শেষ নয়। রয়েছে ইলেকট্রনিক কমব্যাট সিস্টেম ‘স্পেকট্রা’। এই সিস্টেম শত্রুর রাডারকে কব্জা করে আকাশে রাফালের অবস্থানকে লুকিয়ে ফেলে। রাফালে রয়েছে আরবিই-টুএ মাল্টিমোড রাডার। এর মাধ্যমে ১২৪ মাইল দূর থেকে শতাধিক টার্গেটের ওপর নজরদারি চালানো সম্ভব। বিশেষ ‘ডেল্টা’ আকৃতির ডানার জন্য এই বিমান আরও ক্ষিপ্রভাবে নিজের গতিপথ বদলাতে পারে। শব্দের থেকে বেশি গতিতেও বজায় থাকে বিমানের ভারসাম্য।