অনলাইন ডেস্ক, ৮ সেপ্টেম্বর ।।টানা ৩ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার এনসিবির হাতে গ্রেফতার সুশান্ত-মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, তিনদিন ধরে এনসিবির বহু প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি সুশান্তের লিভ-ইন পার্টনার। পাশাপাশি তাঁর দেওয়া উত্তরে সন্তুষ্ট নন গোয়েন্দারা। এছাড়াও অভিযুক্ত নায়িকার বিরুদ্ধে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে রয়েছে যথেষ্ট প্রমাণ।
সুশান্ত-মামলায় মাদক যোগে এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শৌভিক ও স্যামুয়েল ছাড়া বাকিরা হল কর্ণ অরোরা, আব্বাস লাখানি, জৈদ বিলাত্রা, ওয়ারিস পরিহার ও কৈজান ইব্রাহিম ও অনুজ কেসওয়ানি। প্রসঙ্গত, সুশান্তকে মানসিক নির্যাতন, মাদক দেওয়া, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোর মতো একাধিক অভিযোগ রিয়ার বিরুদ্ধে এনেছে সুশান্তের পরিবার। তার ভিত্তিতেই সিবিআই, ইডি, এনসিবি-র মতো তিনটি সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে রিয়ার বিরুদ্ধে।
সুশান্ত মৃত্যুতে ড্রাগ কানেকশনের শিকড় খুঁজতে রবিবার রিয়াকে সমন জারি করে এনসিবি। এরপর টানা দুদিন রিয়াকে প্রায় ১৪ ঘণ্টা জেরা করা হয়। মঙ্গলবার ভাই শৌভিক চক্রবর্তী এবং সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডার সামনে বসিয়ে জেরা করা হয় রিয়াকে। গোয়েন্দা কর্তাদের প্রশ্নবানের মুখে একসময় কেঁদে ফেলেন শৌভিক ও রিয়া। সূত্রের খবর, রিয়া এনসিবি-কে জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে কেদারনাথ ছবির শুটিংয়ের সময় থেকে সুশান্ত গাঁজা নেওয়া শুরু করেন। সে কথা অভিনেতা নিজেই বান্ধবীকে জানিয়েছিলেন। রিয়ার দাবি, তিনি নিজে কোনও দিন মাদক নেননি। জানা যাচ্ছে, ‘সৌভিককে দিয়ে সুশান্তের জন্য ড্রাগ আনাতাম’, এনসিবির জেরায় তা কবুল করেছে রিয়ার। তবে কবে সেই মাদক তিনি এনেছিলেন, তা জানাননি রিয়া। তবে শৌভিক ও মিরান্ডা যে সুশান্তকে মাদকের জোগান দিতেন, সেটা স্বীকার করেছেন দু’জনেই। আর সেক্ষেত্রে জড়িয়েছে রিয়ার নামও, আর সেই কারণেই রিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে রিয়া চক্রবর্তীর গ্রেফতারির খবরে বিহারের ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে জানান, ওর মুখোশ খুলে গিয়েছে। মাদক চক্রের সঙ্গে যে তাঁর যোগ ছিল, এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।