অনলাইন ডেস্ক, ৬ সেপ্টেম্বর।। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে সমস্ত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে সোমবার বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষাসচিব শিক্ষাসচিব মণীষ জৈন। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, সমস্ত উপাচার্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকটি পৌরোহিত্যে করবেন রাষ্ট্রপতি।
কেন্দ্রের মোদি সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণার পরই সরব হয় বাংলার সরকার। এদিনের বৈঠকেও এ নিয়ে রাজ্যগুলি সরব হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, শিক্ষা যৌথ তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্র রাজ্যের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই নীতি তৈরি করেছে। এই নীতি খতিয়ে দেখে তার আপত্তির জায়গাগুলো তুলে ধরতে রাজ্য সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার সহ ৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়। সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে তাদের আপত্তির জায়গাগুলো লিখে ৭৬ পাতার রিপোর্ট শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পেশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
প্রসঙ্গত, রিপোর্টে ৪০টিরও বেশি জায়গায় আপত্তি তুলছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। যেমন, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সেমেস্টার সিস্টেম নিয়ে যা বলা আছে, তা পরিষ্কার নয়। মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকবে থাকলে কি ভাবে থাকবে না তুলে দেওয়া হবে সেটি স্পষ্ট নয়। নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত পড়ুয়ারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে বলা হয়েছে, কিন্তু স্কুলগুলোতে তার পরিকাঠামো কী ভাবে তৈরি হবে তা বলা হয়নি বলেও ওই রিপোর্টে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা। উচ্চ শিক্ষার গবেষণার জায়গাগুলোয় একাধিক আপত্তির কথা জানান বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার তকমা না-দেওয়ায় রিপোর্টে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়, জাতীয় শিক্ষানীতিতে পড়ুয়াদের যে বিষয় নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের, তা নিয়ে বিরোধিতায় সরব হয়েছে বাংলার পাশাপাশি আরও কয়েকটি রাজ্য। তাদের দাবি, রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফাভাবে শিক্ষানীতি ঘোষণা করেছে সরকার। সঙ্গে তাঁদের দাবি, এই ব্যবস্থায় শিক্ষার গেরুয়াকরণের আয়োজন হয়েছে।