অনলাইন ডেস্ক, ৬ সেপ্টেম্বর।।চ্যাম্পিয়নের ঢঙেই নেশনস লিগে যাত্রা শুরু করল পর্তুগাল। বিশ্বকাপ রানার্স ক্রোয়েশিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে অভিযান শুরু করল ইউরো এবং নেশনস লিগ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
শুরু থেকেই আক্রমণে ক্রোয়েশিয়া রক্ষণ ফালা-ফালা করে দিতে থাকেন জোয়াও ক্যানসেলো, জোয়াও ফেলিক্স, দিয়োগো জোটারা। দ্বিতীয় মিনিটে নিকোলো ভ্লাসিচের একটি দুর্দান্ত প্রয়াস রক্ষা করেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক অ্যান্থনি লোপেজ। এরপর মাঠ জুড়ে শুধুই পর্তুগালের দাপট। প্রথম কোয়ার্টারে ক্যানসেলোর সাজিয়ে দেওয়া বল বিপক্ষ এক ডিফেন্ডারের গায়ে মেরে নষ্ট করেন ফেলিক্স। এরপর তিনটি ক্ষেত্রে পোস্টে প্রতিহত হয় ফেলিক্স, জোটা এবং গুয়েরেইরোর প্রয়াস। মনে হচ্ছিল দিনটা বোধহয় কোনওভাবেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে নেই। কিন্তু বিরতির চার মিনিট আগে দূরপাল্লার শটে ডেডলক খোলেন রাইট-ব্যাক ক্যানসেলো। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর বাঁ-পায়ে নেওয়া কার্লিং শট বিপক্ষ গোলরক্ষক লিভাকোভিচের নাগাল এড়িয়ে খুঁজে নেয় গোলের ঠিকানা।
দ্বিতীয়ার্ধেও আধিপত্য বজায় থাকে পর্তুগালের। ৫৮ মিনিটে গুয়েরেইরোর বুদ্ধিদীপ্ত চিপ বক্সের মধ্যে নিজের দখলে নিয়ে নিশানায় অব্যর্থ থাকেন জোটা। প্রথমার্ধে বারদু’য়েক সহজ সুযোগ নষ্টের পর অবশেষে ৭১ মিনিটে দূরপাল্লার শটে দলকে তৃতীয় গোল এনে দেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের তরুণ স্ট্রাইকার ফেলিক্স। গোলটির পিছনে সমানভাবে দায়ী ক্রোট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। পর্তুগালের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় সেখানেই। কিন্তু গোলপর্ব তখনও বাকি ছিল। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে সান্ত্বনা পুরস্কার স্বরূপ ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ব্যবধান কমান ব্রুনো পেতকোভিচ। ম্যাচের ফাইনাল টাচে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় পর্তুগিজরা। ক্যানসেলোর কর্নার থেকে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন আন্দ্রে সিলভা।
এদিন পর্তুগালের নামের পাশে ৬-৭ গোল হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। কয়েকটি ক্ষেত্রে ক্রোট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় এবং একাধিক শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হওয়ায় ৪ গোলেই আটকে রইল ফার্নান্দো স্যান্তোসের ছেলেরা। বিপক্ষ শিবিরে মদ্রিচ-রাকিটিচের মতো তারকারা ছিলেন না। পেরিসিচকে বেঞ্চে রেখেই একাদশ সাজিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়া কোচ। পক্ষান্তরে মৌমাছির কামড়ে মাঠের পরিবর্তে পর্তুগিজ শিবিরের মধ্যমনি রোনাল্ডো এদিন স্ট্যান্ড থেকেই দলের খেলা উপভোগ করলেন। দেখলেন দলটা একেবারেই তাঁর উপর নির্ভরশীল নয়।