স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ সেপ্ঢেম্বর ৷৷ পরিকাঠামোয় ঘাটতি নেই৷ শুধু সমন্বয়ের অভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে অভিযোগের আঙ্গুল উঠছে৷ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ আগরতলা গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার সাথে জড়িত চিকিৎসক এবং প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে জিবি হাসপাতালের কোভিড ট্রিটমেন্টের যাবতীয় চিকিতা ব্যবস্থাপনা এবং হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করে এইভাবেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷
তাঁর কথায়, বর্তমান কোভিড-১৯ জনিত পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতাল জিবি হাসপাতালের কোভিড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের রোগীদের চিকিতা প্রদান করার ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স সহ সকল স্তরের চিকিতা কর্মীদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে৷ পাশাপাশি এ সময়ে চিকিৎসক সহ সব চিকিৎসাকর্মীদের সেবার মনোভাব নিয়েও কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি৷ সভায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং চিকিতা পরিসেবায় যেসমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে খোঁজখরব নেন মুখ্যমন্ত্রী৷
জিবি হাসপাতালের কোভিড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের চিকিতা পরিকাঠামো এবং পরিষেবার পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে যে পরিকাঠামো রয়েছে তা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে৷ তিনি বলেন, কোভিড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের দায়িত্ব পালনে আরও আন্তরিক ও দায়িত্ববান হতে হবে৷ কারণ সবার আগে জনগণ৷ তাই চিকিতার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে৷ সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বর্তমান এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন৷ তিনি বলেন, জিবি হাসপাতালে নিয়মিত পানীয় জল সরবরাহ সহ বিদ্যুত পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ পাশাপাশি কোভিড ট্রিটমেন্ট সেন্টারকে প্রতিনিয়ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও প্রয়োজন৷ এজন্য জিবি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি নির্দেশ দেন৷
কাভিড-১৯ পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চিকিতকরা যেন সুরক্ষামুলক ব্যবস্থা নিয়েই কোভিড ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন৷ পাশাপাশি হাসপাতালের সাফাই কর্মীদের জন্য সময়সূচি তৈরি করে দেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন৷ পর্যালোচনা সভায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের চিকিতা পরিষেবাকে আরও উন্নত করার ক্ষেত্রে কিকি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেই সম্পর্কে চিকিতক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকগণ বিস্তারিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন৷ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বাস্থ্য দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত) এস কে রাকেশ, মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ সচিব প্রশান্ত কুমার গোয়েল, স্বাস্থ্য অধিকর্তা শুভাশিষ দেববর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷