স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩১ আগস্ট।। রাজ্যে প্রতিদিন বিষাক্ত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যু অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। করোনা ভাইরাস রুখতে প্রশাসন থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহব্বান প্রতিদিনই গল্পের মত পড়ে চললেও কিন্তু সামাজিক দূরত্বের আঢ্য শ্রাদ্ধ করে চলেছে রাজনৈতিক দলগুলি।
আর এতে যে ঝুঁকি কতটা ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে সেটা হয়তো রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা অবগত হয়েও সম্পূর্ণ মুর্খের ন্যায় রাজনীতিকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে পরিচয় দিচ্ছে। সোমবার ৭ রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির ১৪ নং ওয়ার্ড অফিসের উদ্বোধন হয়। আর এদিন শাসকদলের এই দলীয় অফিসটি উদ্বোধন করেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত, টি আর টি সি চেয়ারম্যান দীপক মজুমদার।কর্মসূচিতে কোন রকম সামাজিক দূরত্ব বজায় না কয়েক শতাধিক কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গাদাগাদি করে রেখে দলীয় কার্যালয়টি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি এলাকার কয়েক শতাধিক লোককে একসাথে গাদাগাদি করে ত্রাণ সামগ্রীও বিতরণ করা হয় এদিন।
আর ১৪ নং ওয়ার্ডটি সম্প্রতি আগরতলা পুর নিগম এলাকা করোনা সংক্রমণের দিকে শীর্ষস্থানে আছে বলা যায়। আর এই এলাকাতেই প্রদেশ বিজেপির সভাপতি গিয়ে জাঁকজমকভাবে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন ত্রান সামগ্রী বিতরণ করে এলাকাবাসীর মধ্যে। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য সিপিএমের দাবি দিবসের পর বিক্ষোভ কর্মসূচি অর্থাৎ লোক জমায়েতকে কেন্দ্র করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার নিন্দা জানিয়ে বলেন, রাজ্যে বিরোধী দলগুলি করুণা আবহে এ ধরনের কর্মসূচি করে মানবজাতিকে সংকটের মুখে ঠেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা করছে।
সোমবার শাসক দলের ১৪ নং ওয়ার্ডের কর্মসূচির চিত্র ছিল অনেকটাই বিরোধী দল সিপিএমের মতোই। এতে সচেতন মহলে একপ্রকার আওয়াজ উঠছে দলীয় কার্যালয় এবং ত্রান শিবিরের নাম করে শাসক দলও বিরোধী দলের মতোই মানুষকে করোনা সংক্রমনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে না তো ? আর যদি এটাই হয়ে থাকে তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে যদি মানবজাতি রক্ষা করা সম্ভব না হয় তাহলে আগামী দিনে ভোট নিয়ে কার সাথে রাজনীতি করবে সেসব বকলম রাজনীতিক দলগুলি ? কারণ রাজধানীতে ধারাবাহিকভাবে বিরোধী দল এবং শাসক দলগুলির এই ধরনের কর্মসূচিতে হয়তো সংক্রমণ যেভাবে ছড়াচ্ছে তাতে আগামী দিনে রাজধানীতে মৃত্যুর মিছিল লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা সচেতন মহলের। বলা যায় রাজনৈতিক দলগুলি এ ধরনের রাজনীতিতে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের মধ্যে ছিঃ ছিঃ রব উঠতে শুরু করেছে।